বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে প্রচার এখন তুঙ্গে। বিজেপির প্রার্থী কেয়া ঘোষ এবং তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। আজ, সোমবার কেয়া ঘোষের প্রচারে ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকী বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষের এক সমর্থককে ধারাল অস্ত্র নিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে। অথচ পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাই ধারাল অস্ত্র নিয়ে আসা যুবক পালিয়ে যেতে পেরেছে। এই ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। এই খবর পেয়েই থানায় ছুটে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ঠিক কী বলছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, অনুমতি ছাড়াই চলছিল প্রচার। এই প্রচার করতে নিষেধ করা হয়েছিল। তবে যে হামলার অভিযোগ তোলা হচ্ছে সেটা সঠিক নয়। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে দেখা হবে। বিজেপি প্রার্থী নিরাপদই আছেন। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেকে ব্যবস্থা নেবে।
উল্লেখ্য, আগামী ১২ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন। আর আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। এখানেই প্রচার সারছিলেন কেয়া ঘোষ। বিজেপি কর্মীরাও ছিলেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালানোর সময়, একদল লোক কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। ঘটনায় ছুরির আঘাত লাগে এক বিজেপি কর্মীর।
এই ঘটনা নিয়ে রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কেয়া ঘোষ। ঠিক কী অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর? এই নিয়ে কেয়া ঘোষের অভিযোগ, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন মহিলাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ছুরি দিয়ে আঘাতও করেছে। কর্মীদের ছুরি, রড দিয়ে মারা হয়েছে। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস হারার ভয় পাচ্ছে।’ আর শুভেন্দু বলেন, ‘জনসমাবেশ করতে গেলে পুলিশের অনুমতি লাগে। কিন্তু বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে গেলে অনুমতি লাগে, প্রথম শুনলাম। বিষয়টি নির্বাচন কমিশকে জানানো হবে।’