কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। বার বার তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি। সেই জয়প্রকাশকেই দলবিরোধী কাজের জন্য় সাসপেন্ড করেছে বিজেপি। এরপরই মঙ্গলবার ঘটা করে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। যে জয়প্রকাশ এতদিন বার বার তৃণমূলকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করতেন, সেই জয়প্রকাশই এদিন কার্যত তৃণমূলনেত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আচমকা তাঁর এই উলটো অবস্থানকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকী বিজেপির ভার্চুয়াল মিটিং নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার।
জয়প্রকাশ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, নির্বাচনে এরকম ফলাফল কেন হল তা নিয়ে কোনও পর্যালোচনা হল না। ভার্চুয়াল মিটিং-এ কেউ যখন কোনও কথা বলতে গেছেন,তাকে সঙ্গে সঙ্গে হয় চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে অথবা আমাদের যারা আইটি দেখেন তাদের বলা হয়েছে,মাইকটা অফ করে দাও। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। কেন্দ্রীয় নেতাদেরও একহাত নেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, মিটিংয়ে বলা হল বাংলার কোনও নেতা এমনকী দিলীপ ঘোষকে ছাড়াই বিজেপি জিতবে। এভাবেই একের পর এক তোপ দাগেন তিনি। দিলীপ ঘোষের প্রতি সুর নরম করলেও দলের রাজ্যে সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপর কার্যত খড়্গহস্ত হন তিনি।
এদিকে জয়প্রকাশ মজুমদারের এই মাইক কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, বিজেপির অন্দরে সবরকম বলার সুযোগ রয়েছে। ভুল কথা বলছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তবে এতসব কিছুর পরেও সকলের একটাই প্রশ্ন, তৃণমূলে কবে যাচ্ছেন জয়প্রকাশ? তৃণমূলের কেউ কী যোগাযোগ করেছেন তার সঙ্গে? জয়প্রকাশ এনিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা জিইয়ে রেখে তিনি বলেন, না। এখনই কিছু ভাবছি না। তবে অর্জুন সিংয়ের দাবি, এখন তো মনে হচ্ছে আগে থেকেই জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ ছিল। আইপ্যাকের সঙ্গেও তাঁর পরিবারের যোগাযোগ ছিল। তবে রীতেশ তিওয়ারি জানিয়ে দেন, বিজেপিতে আছি. ছিলাম, থাকব।