হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চেয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হল দল। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অপসারণ দাবি করেন বিজেপি নেতারা।
এদিন বিজেপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিজেপি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান, ‘বোমা বিস্ফোরণ, গুলি এগুলোই এখন পশ্চিমবঙ্গের পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোট যত এগোচ্ছে ততই হিংসা বাড়ছে। বিজেপির কোনও কর্মীর নাম লিখে মৃতের নামে একটা সুইসাইড নোট তৈরি করবে। তার পর বিজেপি কর্মীকেই জেলে ভরবে। আমরা মাননীয় রাষ্ট্রপতিকে বলেছি, আমাদের ওখানকার কোনও তদন্তকারী সংস্থার ওপর কোনও ভরসা নেই। এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত প্রয়োজন।‘
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অপসারণ দাবি করে কৈলাস বলেন, ‘যেখানে জনপ্রতিনিধির সুরক্ষা নেই সেই সরকারেরও ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। এই সরকারকে এখুনি বরখাস্ত করা উচিত। সেজন্য রাজ্যপালের কাছে আপনার রিপোর্ট তলব করা উচিত।‘
সোমবার ভোরে বাড়ি থেকে কিছু দূরে রাস্তার পাশেই বন্ধ দোকানের সামনে ছাউনি থেকে উদ্ধার হয় হেমতাবাজের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের দেহ। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে কাউকে কিছু না জানিয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ঘটনায় খুনের অভিযোগ করে পরিবার ও বিজেপি। মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে জানা যায়, দেবেন্দ্রনাথবাবুর গলায় ফাঁসের দাগ মৃত্যুর আগের। তাছাড়া ওই দাগ গলায় ফাঁস দিয়ে ঝোলার জন্য হয়েছে। শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঝুলিয়ে দিলে ওরকম দাগ পড়ে না।
দেবেন্দ্রবাবুর পকেট থেকে সোমবার একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার। তাতে স্থানীয় ২ তৃণমূল নেতার নাম রয়েছে বলে খবর।