আজ, বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করল সিবিআই। একাধিকবার হাজিরা এড়ানো নিয়ে বুধবার রাষ্ট্রপতির কাছে নালিশ করেছিল বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার উল্লেখ করেছিলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে বারবার গরু পাচার মামলায় হাজিরার নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি তা এড়িয়ে যাচ্ছেন।’
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? বঙ্গ–বিজেপির নেতারা রাষ্ট্রপতিকে বুধবার নালিশ করেন। আর বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়িতে ঢুকে সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে গ্রেফতার করেন। এই পর পর হওয়া ঘটনায় রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ সকাল ১০টা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকরা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছন। রাত ১টা নাগাদ সিবিআইয়ের বিশাল টিম বোলপুর পৌঁছে গিয়েছিল। রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে প্রথমে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়। তার পরই তুলে ধরা হয় অনুব্রত মণ্ডল ইস্যু।
আর কী জানা যাচ্ছে? বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতা–মন্ত্রীর নামে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। তার মধ্যে নাম ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। সুকান্ত মজুমদার আগেই হুমকি দিয়েছিলেন বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ঢোকানো হবে। আর সেটাই বাস্তবে দেখা গেল আজ অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে। সুকান্ত মজুমদার ও দলের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তালিকা দেওয়া হয়েছে। তাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শওকত মোল্লা, পরেশ অধিকারীর মতো তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারাও ইডি–সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে বলে তাঁর দাবি।
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে গোহারা হেরে গিয়েছিল বিজেপি। তারপর একের পর এক নির্বাচনে পরাজয়ের মুখই দেখতে হয়েছে তাঁদের। সংগঠন তলানিতে চলে গিয়েছে বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্বের। তাই ইডি–সিবিআই দিয়ে ভয দেখানো হচ্ছে বলে আগেই দাবি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর যতদিন গড়িয়েছে ততই সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, এসএসসি’র দুই প্রাক্তন উপদেষ্টা এবং অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হল।