সাত জনের মধ্যে ৪ জনই গরহাজির। শুক্রবার বনগাঁয় দিলীপ ঘোষের ডাকা সভায় এমনই ছিল ছবি। দলের রাজ্য সভাপতির ডাকা সভায় দেখা মিলল না সাংসদ-সহ তিন বিধায়কের। মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরার দিন এই ছবিতে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
শুক্রবার বিধানসভা নির্বাচনের ফলের মূল্যায়ণ করতে বনগাঁয় গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁকে স্বাগত জানান বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব। কিন্তু দিলীপবাবুর ডাকা বৈঠকে দেখা মেলেনি ৩ বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, অশোক কীর্তনিয়া ও বিশ্বজিৎ দাসের। দেখা মেলেনি স্থানীয় সাংসদ শান্তনু ঠাকুরেরও। তাঁদের গরহাজির থাকা নিয়ে সন্তোষজনক জবাবও মেলেনি দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে। ফলে তাঁরাও তৃণমূলমুখি কি না সেই জল্পনা থেকেই যাচ্ছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই রাজ্য বিজেপির বৈঠকে দেখা মেলেনি মুকুল রায়ের। তার কয়েকদিন পরই তৃণমূলে ফিরলেন তিনি। সেই পথে কি বনগাঁর সাংসদও? দিলীপবাবু যদিও জানিয়েছেন, দিল্লি গিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর।
সাংসদ বিধায়করা কেন গরহাজির? জবাবে দিলীপবাবু বলেন, ‘অনেকের ব্যক্তিগত সমস্যা রয়েছে। আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত। তাঁদের পাশে রয়েছেন। সেবার কাজে রয়েছেন কেউ।’
এদিন CAA লাগু নিয়ে প্রশ্নের মুখে দিলীপবাবু বলেন, কেন্দ্রের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে CAA লাগু করা সম্ভব নয়। আর এই কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে রাজ্য সরকারের সাহায্য প্রয়োজন।