তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস এবার বাংলার পাশাপাশি ভিন রাজ্যেও পালিত হয়েছে। জাতীয় রাজনীতির অনেক নেতাকেই দেখা গেল নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশনাল ক্লাবের প্রেক্ষাগৃহে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শুনতে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে সলতে পাকানো শুরু হয়েছে। আর তাতে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। তাই পাল্টা বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দিতে বিজেপি নেতা তথা আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য দাবি করেন, জাতীয় স্তরের অনেক নেতারাই মমতার পুরো বক্তব্য শোনেননি। এই মন্তব্য করে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, জাতীয় রাজনীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে না।
বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শেষ হতেই টুইট করেন অমিত মালব্য। তিনি লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতা–নেত্রীদের কলকাতায় এক জনসভায় যোগ দেওয়ার ডাক দিয়েছেন, জোট গঠনের জন্য। সেটা করতেই পারেন। তবে ওনার জেনে রাখা উচিত এদিন তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া অন্য দলের যেসব নেতা–নেত্রীদের বক্তৃতা শোনার জন্য নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তার মধ্যে অনেকেই ভাষণ শুরুর আগেই চলে গিয়েছেন।’ এই টুইট করলেও তার সাপেক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি অমিত।
আবার বিজেপিকে ‘ভাইরাস’ বলে কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে বিজেপি নেতার আঁতে ঘা লেগেছে। তাই অমিত মালব্য লিখেছেন, ‘বিজেপিকে ভাইরাস বলেছেন মমতা। তার থেকেই বোঝা যায় আসলে মমতার কাছে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার কোনই ইচ্ছাই নেই মমতার।’
উল্লেখ্য, এদিন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম, কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং, রাম গোপাল যাদব (সমাজবাদী পার্টি), জয়া বচ্চন, সঞ্জয় সিং (আপ), মনোজ ঝা (আরজেডি), প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী (শিব সেনা) সহ অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের শুরুতেই সম্মান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ডিএমকে, টিআরএসের প্রতিনিধিদেরও অভিনন্দন জানান তৃণমূলনেত্রী। অন্যান্য ভাষাভাষির নেতাদের জন্য এদিন তাঁর বক্তব্যের মধ্যে মিশে ছিল ইংরেজি, হিন্দিও।