পুরভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন বিজেপি থেকে শুরু করে অন্যান্য বিরোধীরা। বিজেপি নেতারা আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন এবার তাদের পক্ষে খুব বেশি আসন পাওয়া সম্ভব নয়। মঙ্গলবার ভোট গণনা শুরু হতেই তৃনমুল ঝড় দেখা গেল উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার সর্বত্রই। সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ৩ টি ওয়ার্ডে পদ্ম ফুল ফোটাতে সক্ষম হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা।
মঙ্গলবার ভোট গণনা শুরু থেকে যেখানে তৃণমূলের মধ্যে জয়ের উচ্ছ্বাস দেখা গেছে সেখানে নিস্তেজ থাকল বিজেপি। গণনার প্রথম থেকেই বিজেপির সদরদফতরে দেখা গেল না কোনও নেতাকে। বিজেপি সূত্রের খবর, প্রথম থেকে তাদের অনুমান ছিল ছাপ্পা ভোটের কারণে তৃণমূলী জয়ী হবে। সেই কারণে পুরভোট নিয়ে আশাবাদী নন বিজেপি নেতারা। এদিন সকাল থেকে বিজিপির সদর দফতরে নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি।
গণনার কয়েক রাউন্ড শেষে সমস্ত বোরোতেই তৃণমূলকে এগিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের জয়। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন,' যেভাবে ভোট হয়েছে তাতে তৃণমূল ১৪৪ টি আসনে জিতবে সেটা আমরা জানি। বিরোধীরা মাত্র কয়েকটা আসনে এগিয়ে রয়েছে এটা খুবই আশ্চর্যের বিষয়। ' তার অভিযোগ, ' একাধিক জায়গায় ইভিএম ভেঙে ফেলা হয়েছে। ছাপ্পা ভোট করা হয়েছে । তারপরেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি নির্বাচন কমিশন। অথচ পুলিশ কমিশনার জানাচ্ছেন শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। ' তারফকে এরকম ফলাফল হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক বলেই তিনি মনে করছেন।
ভোটের দিন থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপিসহ বিরোধীরা। তাদের পক্ষ থেকে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানো হলেও নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয় পুনর্নির্বাচনের কোনও প্রয়োজন নেই। তবে পুরভোটে যে এরকম ফল হবে তা অনুমান করতে পেরেছিলেন বিজেপি নেতারা। সেই কারণে এদিন সকাল থেকেই বিজেপি দফতর।