বিধানসভায় বিরোধী দলের চিফ হুইপ মনোজ টিগ্গা কড়া চিঠি দিয়েছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। চিঠিতে উল্লেখ ছিল, উৎসব মরশুমে অধিবেশনে তাঁরা যোগ দিতে পারবেন না। কিন্তু হঠাৎই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অবস্থান বদল করল বিজেপির পরিষদীয় দল। বিরোধী বিধায়করা ব্যস্ত থাকবেন তাই অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না বলে তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন। সেখানে কালীপুজোর আগে একদিন এবং জগদ্ধাত্রী পুজোর পর তিনদিন অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল তাঁরা। যদিও উৎসবের দিনে অধিবেশন হবে না বলে জানান পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বিধানসভা সূত্রে খবর, ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এই সূচি জানার পরই তা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায় বিজেপি। কারণ এই সময়ের মধ্যে কালীপুজো, ভাইফোঁটা, জগদ্ধাত্রী পুজো এবং আদিবাসীদের উৎসব পড়ছে। পাল্টা অধ্যক্ষ জানান, সূচি বদলের কোনও প্রশ্নই নেই। অধিবেশন সঠিক সময়ে হবে। তারপরই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত বদল করল গেরুয়া শিবির।
হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত বদল? বিধানসভা সূত্রে খবর, অধিবেশন চলাকালীন অতিরিক্ত ভাতা পান বিধায়করা। সেটা ছাড়তে চান না অনেকেই। আবার অনেক বিধায়কই আছেন যাঁরা আর্থিকভাবে দুর্বল। তাঁদের কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়টি কিছু বলেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তবে বিজেপি সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হওয়ায় তা জয় হিসাবেই দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘না এসে যাবে কোথায়? তাছাড়া অতিরিক্ত ভাতা আজকের বাজারে কেউ ছাড়ে নাকি! তবে না এলে যে ওদেরই সমস্যা বাড়ত সেটা বুঝতে পেরেছে। এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেটা বুঝতে পেরেই টনক নড়েছে।’