একুশের নির্বাচনের পর থেকে শুধুই গ্রাফ নীচের দিকে নেমেছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, এখন সংগঠন টিকিয়ে রাখা মুশকিল। এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল, শনিবার ৫ মার্চ বিজেপির চিন্তন বৈঠক বসছে। সেখানে যোগ দেবেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। যিনি পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর টুইট করে লিখেছেন, আত্মসমীক্ষার কথা। তাই ঝড় ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার একটিতেও দাগ কাটতে পারেনি বিজেপি। তাই এখন প্রশ্নের মুখে সুকান্ত–শুভেন্দুর নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই ফলাফলে অত্যন্ত বিরক্ত। তাই এই চিন্তন বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন অমিত মালব্য। এই বৈঠকে আলোচনা করে বিস্তারিত রিপোর্ট মালব্য পাঠাবেন জেপি নড্ডা, বিএল সন্তোষকে। একুশের নির্বাচনের পর থেকে উপনির্বাচন, কলকাতা পুরসভার নির্বাচন, চার পুরসভার নির্বাচন এবং ১০৮টি পুরসভার নির্বাচনে শুধুই চূড়ান্ত পরাজয়।
কেন এমন হাল হচ্ছে? কোথায় গলদ রয়েছে? তা জানতেই এই চিন্তন বৈঠক বলে বিজেপি সূত্রে খবর। আজ, শুক্রবার লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দলের বিদ্রোহী নেতাদের কয়েকজন বৈঠক করবেন বলে সূত্রের খবর। এমনকী বিজেপির ১২ জন বিধায়ক লকেটের সঙ্গে পৃথকভাবে যোগাযোগ রাখছেন বলে খবর। শান্তনু ঠাকুর আগেই তাঁর সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়গুলি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারি নয়াদিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের যা জানানোর জানিয়েছেন।
এই চিন্তন শিবিরে অমিতাভ চক্রবর্তী, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্ব নিয়ে তুমুল ঝড় উঠতে পারে বলে সূত্রের খবর। এখন কেন্দ্রীয় নেতাদের গুডবুকে রয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। উত্তরাখণ্ডে নির্বাচনের দায়িত্ব সামলেছেন। নরেন্দ্র মোদী–অমিত শাহ স্নেহ করেন লকেটকে। তাই এই ঝড় তিনিই তুলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘনিষ্ঠমহলে লকেট বলেছেন, শুধু তৃণমূল কংগ্রেসকে দোষ দিয়ে নিজেদের দোষ ঢাকলে চলবে না। সেটাও সামনে আনতে হবে। কেউই নিজের গড় বাঁচাতে পারছেন না—এটা শুধু সন্ত্রাসের জন্য হয় না বলেই মনে করেন লকেট।