সোমবার শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সেখানে বিরোধীদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেস। কিন্তু সেই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিরোধী অনৈক্যের ছবি সামনে আসতেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিতে আজ সকালেই নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন দিলীপবাবু। কলকাতা বিমানবন্দরে বিরোধীদের মধ্যে দূরত্ব নিয়ে সাংবাদিকদের দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বিরোধীদের বৈঠক কে ডাকবে, তা নিয়েই ঝগড়া। কংগ্রেস ডাকবে, নাকি তৃণমূল ডাকবে, না অন্য দল ডাকবে? কে কংগ্রেস, কে তৃণমূল, কে নির্মূল! আমাদের মাথাব্যাথা নেই’।
এদিকে ত্রিপুরা পুরসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর এখন সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান বিরোধীদল। সুতরাং জাতীয় রাজনীতিতে এখন তৃণমূল কংগ্রেস একটা ফ্যাক্টর। সেখানে দিলীপ ঘোষের এই কটাক্ষ কতটা সমীচীন তা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এইসব ড্রামা অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিরোধীদের বৈঠক কে ডাকবে? তা নিয়েই ঝগড়া। ওরা ঠিক করুক নেতা কে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতা হতে চাইছেন, সোনিয়া গান্ধীর দিন চলে গিয়েছে। এইসব করতে করতে এই সিজন পার হয়ে যাবে।’
আজ সংসদে কৃষি বিল প্রত্যাহার একটা বড় বিষয় হতে চলেছে। কারণ রবিবার যে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিল সেখানে গরহাজির ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কী প্রশ্নবাণের ভয়েই অনুপস্থিত প্রধানমন্ত্রী? এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমাদের সরকার সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চায়। দেশের স্বার্থে গঠনমূলক হোক বিরোধীরা। যদি বিরোধিতা করার মতো কোনও বিষয় থাকে, নিশ্চয়ই বিরোধিতা করা উচিত। তবেই তো সফল হবে গণতন্ত্র। আমরা তার জন্য প্রস্তুত আছি।’
উল্লেখ্য, সোমবার কংগ্রেস বিরোধীদের বৈঠকে ডেকেছে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস হাজির থাকছে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁরা। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা বিরোধী দলগুলির বৈঠকে তৃণমূল উপস্থিত থাকবে না। তবে বিরোধীদের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের ঘরে ঢুকিয়ে দেবেন বলে টুইট করেছেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।