যোধপুর পার্ক এলাকায় একটি ক্যাফে শপে চাঁদার জুলুমের অভিযোগ ওঠে। তাতে নাম জড়িয়ে পড়ে এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার। আর শুক্রবার তা নিয়ে তরজায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এই দুই ঘোষের বাক্যবাণে রাজ্য–রাজনীতি তপ্ত হয়ে উঠেছে।
ঠিক কী বলেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ? যোধপুর পার্কে ক্যাফের মহিলা মালিকের উপর চাঁদার জুলুমের অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। তোলাবাজিতে মদত দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। কফি শপ থেকে তোলা চাওয়া হচ্ছে। পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু কতজনকে গ্রেফতার করবে সরকার? এতে তো ঠগ বাছতে গাঁ–উজাড় হয়ে যাবে। রাজ্য সরকার কি দুর্বৃত্তদের হাতে চলে গিয়েছে?’
অভিযোগ, যোধপুর পার্ক এলাকার একটি কফি শপে মহিলা মালিকের উপর চাঁদার জুলুম করা হয়। এই ঘটনায় মহিলা লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ক্যাফেতে আক্রমণ চালানোর অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এই সব বড় বড় কথা দিলীপবাবু পরে বলবেন। সারদা–নারদায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম রয়েছে। তিনি এসবের থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছেন। দিলীপবাবু একজনকে গ্রেফতার করে দেখান না। তৃণমূল কংগ্রেস তোলাবাজিকে অনুমোদন দেয় না। আমার সঙ্গে লেক থানার ওসি’র কথা হয়েছে। বলেছি, এখানে দল নাক গলাতে যাবে না। আপনারা নিরপেক্ষ তদন্ত করুন।’