বাংলা নিয়ে মুখ বন্ধ করার ফরমান জারি হলেও দিলীপ ঘোষ মুখ খুলছেনই। সিকিম থেকে কলকাতায় এসেছেন তিনি। সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে দেখা করেছেন। আর আজ, বুধবার সকালেই প্রাতঃভ্রমণ করতে গিয়ে ইকোপার্কে নানা ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি।
ভবানীপুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে কী বলেছেন? এই বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। তার বাড়িতে ১০০ পুলিশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে ৫০ পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকে। তাও এমন ঘটনা ঘটেছে। এরা বহিরাগত বলে কি বাঁচার অধিকার নেই? এতদিন বিজেপির লোককে মারা হতো। এখন পাবলিককে মারা হচ্ছে। ভাইপোর এলাকায় পেট্রল পাম্পে পুলিশের সাব–ইনস্পেক্টরকে খুন করে ফেলে রাখা হয়েছে। পুলিশ বুঝতেই পারছে না। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।’
আলিপুরদুয়ারে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় কিশোরী অসুস্থ হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সেবা করেছেন। কী বলবেন? এই নিয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘সভায় এসে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ল। মমতা খুব লাইভ ছবি তুললেন। জল খাওয়ালেন। ১১ বছরের কিশোরী পলিটিক্যাল মিটিংয়ে এল কেন? তার মানে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। সবুজ সাথীর সাইকেল পেয়েছে বলে আসতে হবে? মরুক বাঁচুক সবাইকে আসতে হবে? মা, পরিবার বাচ্চা, সবাইকে আসতে হচ্ছে। কারণ সবুজ সাথী অথবা লক্ষীর ভাণ্ডার পেয়েছে। জল খাইয়ে সিমপ্যাথি তৈরি করছেন। এটা নাটকবাজি।’
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। কতটা প্রস্তুত বিজেপি? এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘গত পঞ্চায়েতে ৩৪ শতাংশ আসনে বিজেপিকে প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি। এবার বোধহয় সেটাই পঞ্চাশ শতাংশে বেঁধে দেওয়া হল। পশ্চিমবঙ্গে যে কোন লোকাল বডি ইলেকশন এভাবেই হয়। পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের মিটিং মিছিলে লোক নিয়ে আসে। বিরোধীদের কেস দেয়।’