সোমবার চার পুরসভা নির্বাচনের ফলাফল দাঁড়ায় ৪–০। তৃণমূল কংগ্রেস–৪ আর বিরোধীরা–০। এই পরিস্থিতিতে আশুতোষ কলেজের সামনে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। তখন তিনি মেজাজ হারিয়ে তেড়ে যান। এই ঘটনায় শুভেন্দুকে সমর্থন করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিরোধী দলনেতার নিরাপত্তারক্ষীরা শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্ধার করে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যান। কিন্তু বিরোধী দলনেতা তাঁর মেজাজ হারান। এমনকী সেখানে এক পুলিশকর্মীর উপরে তাঁকে ‘চোটপাট’ করতেও দেখা যায়। অভিযোগ, একজনকে ধাক্কাও মেরেছেন বিজেপি বিধায়ক। তারপরেই গাড়িতে উঠে গিয়েছেন। এই ঘটনায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দাবি করেছেন, এমন হতেই পারে। অস্বাভাবিক নয়।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘শুভেন্দু মেজাজ হারাতেই পারেন। আমি তাতে কিছু মনে করি না। কারণ, যেখানেই ওঁ যাচ্ছেন সেখানেই ওঁকে কালো পতাকা দেখানো হচ্ছে, বিক্ষোভ করা হচ্ছে। রাস্তা আটকে দেওয়া হচ্ছে। বারবার এরকম হলে কী করে কেউ মাথা ঠিক রাখবেন। ওঁর মেজাজ হারানোই স্বাভাবিক। তাই যা হয়েছে ঠিকই হয়েছে।’
এই ঘটনায় টুইটও করেন নন্দীগ্রামের অধুনা বিজেপি বিধায়ক। সেখানে তাঁকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যেহেতু হাজরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি যাওয়ার পথ। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক কেন্দ্র। আর আশুতোষ কলেজের পাশেই পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজন করেছিল একটি সংগঠন। সেখানেই আমন্ত্রিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।