বিজেপি ত্যাগীদের তালিকা লম্বা হচ্ছে। মুখে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলছেন, দু’তিনজন দল ছাড়লে কিছু যায় আসে না। আর শঙ্কার মেঘ জমাট বাঁধছে দলের অন্দরে। এই ভাঙন রোধে স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে চলেছে বিজেপি। না হলে বছর ঘোরার আগেই সংগঠন তলানিতে গিয়ে পৌঁছবে। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৮ জুন বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক বসতে চলেছে। সেখানের মূল আলোচ্য বিষয় এটাই। সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার দলের সর্বস্তরের সাংগঠনিক পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক করবে বিজেপি। এবার কোন পথে এগোবে তাঁরা? কিভাবে ঠেকানো যাবে এই ভাঙন? এসব নিয়েই আলোচনা হবে ওই বৈঠকে। তবে সাংগঠনিক রদবদলের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
একুশের নির্বাচনে বিজেপির এই হাল নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। কারণ দল প্রত্যাশার ধারেকাছে ফলাফল করতে পারেনি। এখন আবার বহু নেতা দলের সঙ্গে যোগাযোগই রাখছেন না। বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে যাঁরা এসেছিলেন এবং হেরে গিয়েছেন তাঁদের অনেকেই এখন কার্যত বেপাত্তা। আবার বিজেপি নিজে মুখেই স্বীকার করেছে তাঁরা ঘরছাড়াদের ফেরাতে পারেনি। তারাও এখন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে যোগযোগ রাখতে শুরু করেছেন। সঙ্গে তথাগত রায়ের একের পর এক পোস্ট রাজ্য নেতাদের অস্বস্তি বাড়িয়েছে। এই অবস্থায় লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ঘুরে দাঁড়ানোর স্ট্র্যাটেজি খুঁজতেই বসছে বৈঠক।
সূত্রের খবর, শোনা যাচ্ছে সাংগঠনিক রদবদলের কথাও। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের পর্যালোচনা করতে রবিবারই দিল্লিতে বৈঠকে বসছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দলের সাধারণ সম্পাদক। বঙ্গে দলের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়রও ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা। এখানেই ঠিক হতে পারে নতুন করে বাংলার জন্য পর্যবেক্ষক নিয়োগ। এরপর আগামী ৮ জুন রাজ্যস্তরের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বিজেপির রাজ্য কমিটি নিয়েও।