বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > বিজেপির অফিস থেকে ফোন লালবাজারে, তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারে তোলপাড়

বিজেপির অফিস থেকে ফোন লালবাজারে, তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারে তোলপাড়

বিজেপি অফিস। ফাইল ছবি–এএনআই।

কিন্তু সিবিআই এই চার দাপুটে নেতাকে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যেতেই ৬ নম্বর মুরলিধর সেন লেনের অফিস থেকে ফোন যায় লালবাজারে।

আজ সাত সকালে পরপর গ্রেফতার চার নেতা। প্রত্যেকেই হেভিওয়েট নেতা। এদের মধ্যে শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে বিশেষ কোন সাফল্য পাননি। তবে বাকি তিনজন বাংলার রাজনীতির দাপুটে নেতা হিসেবেই পরিচিত। তাঁদের গ্রেফতারির পর তাই বিক্ষোভ আছড়ে পড়েছে রাজ্যজুড়ে। কিন্তু সিবিআই এই চার দাপুটে নেতাকে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যেতেই ৬ নম্বর মুরলিধর সেন লেনের অফিস থেকে ফোন যায় লালবাজারে। আর এই ফোন নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।

এই চর্চার কারণ ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে সিবিআই গ্রেফতার করার পর্ বিজেপি অফিস থেকে ফোন যায় লালবাজারে। রাজ্য বিজেপি নেতাদের মনে হয়েছিল এই গ্রেফতারে আক্রমণ নেমে আসতে পারে বিজেপির রাজ্য দফতরে। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে বিজেপি নেতারা কী বুঝতে পেরেছিলেন এটা অনৈতিক গ্রেফতার?‌ তাহলে আশঙ্কার কারণ দেখা দিল কেন?‌ হামলার আশঙ্কায় লালবাজারে ফোন করে নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে। বিজেপির মুরলীধর সেন লেনের অফিস এবং হেস্টিংসের নির্বাচনী অফিসে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।

আর এই ফোনের পর সুরক্ষা পেতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। ততক্ষণে গোটা রাজ্য জ্বলে উঠেছে। সিবিআই দফতরের বাইরে ইটবৃষ্টি শুরু হয়েছে। চেতলা এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। রাজভবন কার্যত ঘিরে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, কর্মী–সমর্থকরা। বিক্ষোভের ছবি আসছে একাধিক জেলা থেকেও। কোথাও টায়ার জ্বালিয়ে, কোথাও রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কর্মীরা।

এখন প্রশ্ন উঠছে, শুভেন্দু অধিকারী বা মুকুল রায়কে কেন গ্রেফতার করা হল না? দলের পক্ষ থেকে সৌগত রায়, কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারাও দাবি করেছেন সিবিআইয়ের গ্রেফতারি আসলে বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি। এই ঘটনাকে নিছক আইনি পদক্ষেপ হিসেবেই বর্ণনা করছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। তবে এই ঘটনায় গোটা রাজ্য অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে।

বন্ধ করুন