বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > ‘‌কে দল ছাড়ল তাতে কিছু এসে যায় না’‌, জয়ের পদত্যাগ নিয়ে মন্তব্য সুকান্তর

‘‌কে দল ছাড়ল তাতে কিছু এসে যায় না’‌, জয়ের পদত্যাগ নিয়ে মন্তব্য সুকান্তর

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (ছবি সৌজন্যে এএনআই) (Brijesh Tiwari)

জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যখন বাংলায় নতুন অধ্যায় রচনা করার কথা বলছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা তখন জয়ের এই ইঙ্গিত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

সংবাদমাধ্যমে তিনি সরাসরি জানিয়েছেন, তিনি বিজেপি ছাড়ছেন। এমনকী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তা জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আগামী দিনে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যখন বাংলায় নতুন অধ্যায় রচনা করার কথা বলছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা তখন জয়ের এই ইঙ্গিত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

তবে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ইঙ্গিত বা দল ছাড়াকে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‌কে দল ছাড়ল তাতে কিছু এসে যায় না। জয় বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ছিলেন না তখনও বিজেপি ছিল। ভবিষ্যতেও বিজেপি বিজেপির মতই থাকবে।’ এই মন্তব্য করলেও দল যে ক্রমশ ভাঙছে তা স্পষ্ট।

ঠিক কী বলেছেন জয়?‌ বিজেপি নেতা বলেন, ‘‌আমি দলের কর্মীদের পথ দেখাতে পারছি না। তারা আক্রান্ত হচ্ছেন। আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। আমি তাদের নতুন পথ দেখাতে পারছি না। তাহলে এই দলে থেকে লাভ কি!‌ তাই আমি মনে করছি আমার এখান থেকে চলে যাওয়া উচিত। কর্মীদেরই যদি বাঁচাতে না পারি তাহলে আমি কিসের নেতা।’‌

আপনি কী তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন?‌ এই বিষয়ে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌যদি শাসকদল আমাকে সুযোগ দেন তাহলে কাজ করব। আমি তো কাজ করতেই এসেছিলাম। সেখানে দেখলাম দিশাহীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। আগেই বলেছিলাম ভবানীপুরে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন। তাই হয়েছে তো। সেটা বিজেপি নেতারা বুঝতে পারছেন না?‌’‌

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার আগে সেখানে নাম লেখান জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৪ ও ২০১৯—দু’টি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করে হেরে যান। তিনি দল ছাড়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘‌এখন বাংলায় যে পার্টি মানুষের সঙ্গে আছে, মানুষ যে পার্টির সঙ্গে আছে, সুযোগ পেলে সেই পার্টিতে যোগ দেব।’‌ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‌অনেক দিন ধরে উনি এমন বলছিলেন। ওখানের যা পরিস্থিতি তাতে কোনও সুস্থ, ভদ্রলোক বিজেপিতে থাকতে পারেন না।’‌

বন্ধ করুন