২০২০ সালে বিজেপি যে আশা নিয়ে দুর্গাপুজো শুরু করেছিল তা পূরণ হয়নি। অগত্যা নিয়মরক্ষা করে তিন বছর চালিয়ে এবার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মহাষষ্ঠীর দিন ইজেডসিসিতে দলের পুজো উদ্বোধনে এসে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এটাই জানিয়েছিলেন। তাতে অনেকেই বলছেন, এই সিদ্ধান্তে বিজেপির দেউলিয়াপনা প্রকাশ্যে এসেছে। এই পুজো করার খরচ অনেক। তাই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এবার এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিজেপি বলছে আর দুর্গাপুজো করবে না। বলছে এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। ওদের দম ফুরিয়ে যাচ্ছে। তৎকাল বিজেপি এই পুজোয় গিয়ে আবার পুরনো পুজোর ছবি দিয়ে সেগুলিকে বিজেপির পুজো না বলে। আজ যে বিজেপিতে গিয়েছে তৎকাল বিজেপি, কাল তার বিজেপি ছাড়তে সময় লাগবে না। কিন্তু আদি বিজেপি নেতারা যদি নিজেদের পাড়ায় নিজেদের পুজোয় থাকতেন, তা হলে তো হল ভাড়া করে পুজো করতে হয় না। তার মানে এই নেতাদের কোনও পুজো নেই। কোনও পাড়া নেই। দেউলিয়াপনাটা ধরা পড়ে যাচ্ছে।’
ঠিক কী বলেছিলেন সুকান্ত মজুমদার? বাংলায় বিজেপি এবারই শেষ দুর্গাপুজো করছে বলে জানিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিন বছরেই কেন বন্ধ এই পুজো? সুকান্তবাবু বলেছিলেন, ‘দুর্গাপুজো করার বিপুল খরচ বহন করার ক্ষমতা নেই দলের। দুর্গাপুজো করতে প্রতি বছর ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়। এই বিপুল খরচ জোগাড় করা মুশকিল।’ একসময় বিজেপি নেতারাই চাউর করেছিলেন, বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না। দুর্গাপুজো হয় না। সেখানে নিজেদেরই বন্ধ করে দিতে হল দুর্গাপুজোকে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ২০২০ সালে ইজেডসিসি–তে প্রথম দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিল বিজেপি। আর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর দুর্গাপুজোর আয়োজনে ভাটা পড়ে। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পথ হিসাবে এভাবে হেঁটেছিল বিজেপি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যান। এখন দুর্গাপুজো বন্ধ করার পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অন্যদিকে বাংলার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে।