এবার দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতাদের জেলে পোরার হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, তৃণমূল নেতাদের বেআইনি আয়ের উৎস খুঁজে বার করবে ইডি। সঙ্গে তাঁর দাবি, বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য পুলিশকে বুথের ধারেকাছে ঘেঁষতে দেবে না বিজেপি।
মঙ্গলবার এক সভায় তৃণমূল নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বাড়ি করেছেন, থাকতে পারবেন না। পাড়ার লোক ঝাড়ু মেরে পাড়ার থেকে অন্য পাড়ায় পাঠিয়ে দেবে। নিউ টাউনে বহু ফ্ল্যাট বহু লোকের নামে রয়েছে আমরা জানি। খুব দেরি নয়, এক দুমাসের মধ্যে ইডি হয়তো খুঁজেও বার করবে কার নামে কটা ফ্ল্যাট আছে। তখন ওই ৩,০০০ – ৪,০০০ স্কোয়্যার ফুটের ফ্ল্যাটে থাকতে পারবেন না। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের ৬ বাই ৬য়ের ঘরে থাকতে হবে’।
তাঁর দাবি, ‘সিবিআই – ইডি – NIA, সবার কাছে সব তথ্য রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে নারদা – সারদা নিয়ে। দেরি হতে পারে, কিন্তু ঠিক সময় বিচার হবে’।
বিধানসভা নির্বাচনে নিজের ভোট দিতে পারবেন আশ্বস্ত করে দিলীপবাবু বলেন, ‘আগামী এপ্রিল-মেতে নির্বাচন হবে। ভাববেন না যে গতবারের পুরসভার মতো ভোট হবে। আপনি আপনার ভোট দিতে পারবেন না। আপনিই আপনার ভোট দেবেন। সেন্ট্রাল ফোর্স আসবে। বুথ পাহারা দেবে। কোনও পুলিশকে আশেপাশে আসতে দেব না’।
জবাবে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘প্রতিবারই তো কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে ভোট হয়। ২০১১ ও ২০১৬-য় নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রতিটা বুথে মোতায়েন করেছিলেন। দিলীপবাবু নতুন কী বলছেন? উনি বিজেপির ক্যাডারদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করছেন’।
ইডি নিয়ে দিলীপের হুঁশিয়ারিরও জবাব দিয়েছেন সৌগতবাবু। তিনি বলেন, ‘ইডি তো আগেও ছিল, এখনো আছে। ভোটের আগে ইডি খুঁজে বার করবে বলছেন কেন? ইডি তো আগেও ছিল। অপরাধমূলক ভাবে অর্থ উপার্জন করলে বা সেই অর্থ কোথাও বিনিয়োগ করলে ইডি ব্যবস্থা নিতে পারে। এতে নতুন কী আছে? রোজ সকালে তেলেভাজার মতো মুখরোচক কিছু দিতে চান। দিলীপবাবু এসব বন্ধ করুন’।