রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সুশান্ত রায়। আর তাঁর নীলবাতি গাড়ি এবং রক্ষী নেই। স্বাস্থ্য ভবনের অন্দরে এখন এটাই চর্চিত বিষয়। কারণ হঠাৎ করে তাঁর নীলবাতি গাড়ি থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষী সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এভাবে তাঁর ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বয়ং সুশান্তবাবু অবশ্য এমন সব গুঞ্জন, জল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছেন।
কেন সরে গেল নীলবাতি গাড়ি–রক্ষী? স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, প্রশাসনের শীর্ষস্তর থেকে সুশান্ত রায়কে গুরুত্ব না দেওয়ার বার্তা এসেছে। আর তখনই নীলবাতির গাড়ি এবং রক্ষী সরে গিয়েছে। এই সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে বেআইনি সম্পত্তি এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ইডি’র কাছে নালিশ জানান জলপাইগুড়ির সমাজসেবী অঙ্কুর দাস। তারপরই এই ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সুশান্তবাবু এসব কথায় আমল দিতে নারাজ।
ঠিক কী বলেছেন সুশান্তবাবু? তিনি গোটা বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। এই বিষয়ে সুশান্ত রায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। ওএসডি পদে থাকার জন্য যে নীলবাতি গাড়ি, রক্ষী পেতাম তা ছেড়ে দিয়েছি। কারণ মেডিক্যাল কাউন্সিলের জন্য এখন কলকাতাতেই বেশিরভাগ সময় থাকতে হয়। উত্তরবঙ্গের ওএসডি পদ রয়েছে। এই কাজের চাপের জন্য নীলবাতি গাড়ি, রক্ষী ছেড়ে দিলাম।’
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, চক্ষু বিশেষজ্ঞ সুশান্ত রায় রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি হন। তারপর কোভিডের সময় উত্তরবঙ্গের ওএসডি হন। প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ এক অস্থি বিশেষজ্ঞের আশীর্বাদে সুশান্ত রায়ের এই পদপ্রাপ্তি। তারপর শুধুই ক্ষমতা বেড়েছে তাঁর। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকদের বদলি, অধ্যক্ষ, এমএসভিপি, বিভাগীয় প্রধান, এমনকী স্বাস্থ্য অধিকর্তা–সহ স্বাস্থ্য ভবনের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে কে বসবেন সেখানেও সুশান্ত রায়ের মতামত গুরুত্ব পেত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সুশান্ত রায়ের অঙ্গুলিহেলনেই এসএসকেএমের নেফ্রোলজি বিভাগের চিকিৎসক অর্পিতা রায়চৌধুরীকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে বদলি করা হয়েছিল।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup