আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ২০২৩ সালের প্রাথমিকের টেট। গত বছর টেটে বায়োমেট্রিক থেকে শুরু করে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। এবার সেই সমস্ত খামতি পূরণ করতে চাইছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবার পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে আর লাইন দিয়ে বায়োমেট্রিক ছাপ দিতে হবে না পরীক্ষার্থীদের। তারা যেখানে বসে থাকবেন সেখানেই বায়োমেট্রিক নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি থাকছে আরও একাধিক ব্যবস্থা থাকছে।
আরও পড়ুন: গত বছরের তুলনায় এবার টেটে জমা পড়ল অর্ধেক আবেদন, নেপথ্যে কী কারণ?
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, গতবারের মতো এবার লাইন দিয়ে পরীক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক নেওয়া হবে না। পরীক্ষার্থীরা যেখানে বসে থাকবেন সেখানে বায়োমেট্রিক হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, গত বছর বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। সে ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিকের জন্য পরীক্ষার আগে লম্বা লাইন পড়ায় ক্ষোভ জানিয়েছিলেন প্রার্থীরা। তাছাড়া পরীক্ষা শেষে বায়োমেট্রিক হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছিল। বিশেষ করে দক্ষিণ কলকাতার একটি স্কুলে পরীক্ষার আগে বায়োমেট্রিক করানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। শেষে পরীক্ষার পর প্রার্থীদের বায়োমেট্রিক করানো হয়। সেক্ষেত্রে দীর্ঘ লাইন পরে। তাতেই ক্ষোভ জানিয়েছিলেন প্রার্থীরা। এর পাশাপাশি জেলার কয়েকটি কেন্দ্রেও এই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। মূলত এই সমস্ত কারণেই এবার বায়োমেট্রিক নিয়ে অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি পরীক্ষা কেন্দ্রে আরও একগুচ্ছ ব্যবস্থা থাকছে। সেক্ষেত্রে জলের বোতল নিয়ে যেতে পারবেন না পরীক্ষার্থীরা। তার বদলে জলের পাউচ দেওয়া হবে প্রার্থীদের। এছাড়া গতবার যে সমস্ত বিধিনিষেধ ছিল এবারও সেগুলিই থাকছে। সেগুলি হল ফেসিয়াল রেকগনিশন’, ‘ফ্রিস্কিং’ বা ‘মেটাল ডিটেক্টর’ দিয়ে পরীক্ষা করা, অলঙ্কার পরে না আসা প্রভৃতি। একই সঙ্গে স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরে টেট হয়েছিল ১১ ডিসেম্বর। সেক্ষেত্রে পরীক্ষায় বসেছিলেন ৬ লক্ষ ২০ হাজার প্রার্থী। তবে এ বছর আবেদনকারীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক কারণ প্রতিবছর টেট হচ্ছে। কিন্তু নিয়োগ হচ্ছে না। এই সমস্ত কারণেই অনেকেরই মধ্যে অনীহা দেখা দিয়েছে। যার ফলে আবেদন থেকে বিরত থেকেছেন বহু প্রার্থী। পাশাপাশি এবার শুধুমাত্র ডিএলএড প্রশিক্ষিতরাই বসতে পারবেন পরীক্ষায়। সেই কারণে গত বছর ডিএলএড এবং বিএড পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসতে পেরেছিলেন। এই সমস্ত কারণে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অর্ধেক।