ফের রাজ্যে এক বার সিঙ্গারের অস্বাভাবিক মৃত্যু। বুধবার ভোরে কলকাতার মানিকতলায় বাড়ির কাছেই পাওয়া যায় বাবলু সরদার নামে ওই যুবকের দেহ। মৃতের বাবা - মায়ের দাবি, বাবলুকে খুন করেছেন তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মানিকতলা থানা।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বার সিঙ্গার বাবলুবাবু গান পরিবেশন করে ভোর রাতে স্কুটার চালিয়ে বাড়ি ফিরতেন। বুধবার ভোর হতে চললেও বাড়ি না ফেরায় উদ্বেগ বাড়ে। খোঁজাখুঁজি করতে বেরিয়ে পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন, বাড়ির কাছেই রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছেন তিনি। খবর পেয়ে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। বাবলু সরদারকে উদ্ধার করে তাঁরা রাধা গোবিন্দ কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
মৃতের বাবা মায়ের দাবি, বাবলুকে খুন করেছেন তাঁর স্ত্রী সরস্বতী। দম্পতির বিয়ে হয়েছিল ১২ বছর আগে। তাঁদের ২টি সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বাবলুবাবুর ওপর নানা ভাবে অত্যাচার চালাতেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। বাবলুবাবুর টাকা পয়সা হাতাতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর বাবা - মায়ের।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাবলু সরদারের স্ত্রী। তিনি বলেন, কী করে ওর এরকম হল জানি না। আমার সব শেষ হয়ে গেল। উলটে রাগ মেটাতে আমাকেই দোষী করছে ওর বাবা - মা। ওদিকে আমি একা ছেলে দুটোকে কী করে মানুষ করব ভেবে কূল কিনারা পাচ্ছি না।
দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল জানতে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খোঁজা চলছে।
বলে রাখি, জানুয়ারিতে হাওড়ার মুক্তিরচকে শশীকান্ত মালিক নামে এক বার সিঙ্গারের মৃত্যু হয়। ভাড়া বাড়ির চার তলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। নিহতের স্ত্রী অভিযোগ করেন, ঘরভাড়া করে প্রেমিকার সঙ্গে থাকতেন স্বামী। সেই প্রেমিকাই খুন করেছেন শশীকান্তকে।