বজবজে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিল রাজ্য সরকার। সোমবার দুপুরে নবান্ন সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় ওই বিস্ফোরণে ১ নাবালিকা ও ২ মহিলার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর অবৈধ বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট নাগাদ বজবজের নন্দরামপুরের দাসপাড়ায় একটি অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২ জনের। অন্যজনের বেহালা ESI হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রাত থেকেই এলাকায় তল্লাশি শুরু করে বজবজ থানার পুলিশ। রাতভর পুলিশি তল্লাশিতে প্রচুর অবৈধ বাজি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বেআইনি বাজি মজুতের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩২ জনকে।
সোমবার সকাল থেকে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে শোরগোল শুরু হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ ও স্থানীয়রা। বেলা গড়াতে এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। বজবজ থানাকে এই বিস্ফোরণ সংক্রান্ত যাবতী নথি সিআইডির হাতে তুলে দিতে বলা হয়েছে।
বলে রাখি, গত সপ্তাহে এগরার খাদিকুল গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু হয়। পরদিনই সেই ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। ওদিকে ঘটনার পর পুলিশের দায়ের করা FIR-এ বিস্ফোরক আইনের কোনও ধারা দেওয়া যায়নি। এই ধারা দিলে ওই FIR সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে পাঠানো বাধ্যতামূলক। তার ভিত্তিতে NIA তদন্ত হবে কি না তার সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্র। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে NIA তদন্ত রুখতেই কি খাদিকুল বিস্ফোরণে বিস্ফোরক আইনের ধারা দিল না পুলিশ? এবার দেখার বজবজ বিস্ফোরণেও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় কি না।