তন্ময় চট্টোপাধ্যায়
জনস্বার্থ মামলাকে সরিয়ে রেখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার সোমবার সম্প্রচারের অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। একটি বেসরকারি চ্যানেলে ওই সাক্ষাৎকার প্রচারের আগে তা বন্ধের জন্য জনস্বার্থ মামলা হয় আদালতে। তবে সেই আবেদন শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি।
ওই রিট পিটিশন করেছিলেন শেখ সইদুল্লা নামে এক নাগরিক। তিনি তাঁর আবেদনে জানিয়েছিলেন, এই ধরনের ইন্টারভিউের সঙ্গে বিচারব্যবস্থার মূল্যবোধ ও ব্যাঙ্গালোর প্রিন্সিপালের সঙ্গে বৈপরীত্য রয়েছে। এই ধরনের সাক্ষাৎকার বন্ধের জন্য অবিলম্বে নির্দেশ দেওয়ার জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন।
তবে চিফ জাস্টিস প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, কিছু সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে এই আবেদন করা হয়েছে। এরপর ওই সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত করা হয়।
পাশাপাশি আদালতের নির্দেশে জানানো হয়, আবেদনকারী তাঁর পক্ষে যথাযথ বিশ্বাসযোগ্য যুক্তি দিতে পারেননি। সেক্ষেত্রে রিট পিটিশনের আবেদনকে মান্যতা দেওয়ার মতো কোনও বিশেষ ভিত্তি নেই।
এদিকে রাজ্য সরকার এই মামলার অন্য়তম পার্টি ছিল। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছিল, অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছেন, ইনস্টিটিউশনের সুনামকে ভঙ্গ করে এমন কিছুকে অনুমতি দেওয়া ঠিক নয়। পাশাপাশি ইনস্টিটিউশনকে রক্ষার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণের প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতের একটি মামলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে আদালতের তরফে নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছিল, এই পরিস্থিতিতে আমাদের বিশ্বাস আছে কোনও বক্তব্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্গালোর প্রিন্সিপাল মেনে ও আদালতকে সম্মান জানাবেন সম্মানীয় বিচারপতি।
এর সঙ্গেই বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছিল, বৃহত্তর জনস্বার্থে চ্যানেল এমন কিছু সম্প্রচার করবে না যেটি বিচারব্যবস্থার ইমেজকে নষ্ট করে। এর সঙ্গেই আদালত জানায় অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণের মামলাটির প্রেক্ষিত ছিল একেবারেই আলাদা।
আর ওই সাক্ষাৎকারে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় জানিয়ে দিলেন, আমি চিরদিন সৎ থেকেছি। সৎ থেকে যাব।এই ধরনের দুর্নীতির মামলা যদি আবার আসে তবে আবার কঠোর নির্দেশ দেব। আর উল্লেখ করেন অ্য়াডমিটেড দুর্নীতির প্রসঙ্গ যা বঙ্গ জীবনের চর্চার আজ অন্যতম অঙ্গ।