নিয়োগ দুর্নীতিতে এমনিতেই জেরবার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলে রয়েছেন সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এরই মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে নতুন দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। যার জেরে ডিএলএড কোর্সে ভর্তিতে স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ।
গত ২৮ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপতিতে ২০২১ – ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে নতুন করে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়। ভর্তি ফি ধার্য করা হয় ৩,০০০ টাকা। মামলাকারী সুকান্ত গুড়িয়ার দাবি, কোর্সের মেয়াদ শেষ হতে যখন আর মাত্র কয়েক মাস বাকি তখন নতুন করে ছাত্র ভর্তির অনুমতি দেওয়া হল কেন? এই কদিন ক্লাস করে কী শিখবে তারা? আর যেখানে সাধারণভাবে ডিএলএড কোর্সে ভর্তির ফি ৩০০ টাকা ও সংরক্ষিতদের জন্য ১৫০ টাকা, সেখানে ৩,০০০ টাকা ফি ধার্য করা হল কেন?
এই মামলায় আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর সওয়ালের পর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ NCTE-র কাছে জানতে চায়, ডিএলএড কোর্সে ন্যূনতম কতদিন ক্লাস করা বাধ্যতামূলক? জবাবে NCTE-র আইনজীবী জানান, ২০০ দিন ক্লাস করতেই হবে। তখন বিচারপতি বলেন, এই কোর্সে আর মোট ২০০ দিন ক্লাস করানোর অবকাশ নেই। ফলে আপাতত বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ জারি করল আদালত।
এব্যাপারে মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘ঘুরপথে প্রাথমিকে নিয়োগ করতেই এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। প্রথমে ৩০০ টাকার জায়গায় ৩০০০ টাকা করে নিয়ে সরকারিভাবে লুঠপাট করছে তারা। তার পর এই প্রার্থীদের থেকে টাকা নিয়ে পরবর্তীতে তাদের নিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়ে থাকতে পারে। নতুন দুর্নীতির মঞ্চ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। চোরেদের রাজত্ব।’