রাজ্যের কলেজগুলির অতিথি অধ্যাপকদের বেতন কাঠামো নির্দিষ্ট করার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। সেইমতো সমস্ত কলেজগুলিকে কর্মরত অতিথি অধ্যাপকদের নামের তালিকা জমা দিতে বলেছিল রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। কিন্তু, পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি কলেজ অতিথি অধ্যাপকের নাম পাঠায়নি। যার ফলে ওই অধ্যাপক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে সুরাহা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই অধ্যাপক। অবশেষে আইনি লড়াইয়ে জয়ী হলেন গোপাল অধিকারী নামে ওই অতিথি অধ্যাপক। তাঁকে নির্দেশিকা অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ওই অধ্যাপক গোপাল অধিকারী ২০১৮ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের কলেজে অটোনমাস এডুকেশন বিভাগে অতিথি অধ্যাপক হিসাবে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর অতিথি অধ্যাপকদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর একটি নির্দেশিকা জারি করে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, অতিথি অধ্যাপকদের চাকরির নিরাপত্তা এবং বেতন কাঠামো নিশ্চিত করার জন্য প্রতিটি কলেজকে তাদের কর্মরত অতিথি অধ্যাপকদের নাম ডাইরেক্টর অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশন এডুকেশন ডিরেক্টরেটের বা ডিপিআইয়ের কাছে পাঠাতে হবে। নির্দেশিকায় অতিথি অধ্যাপকদের বেতন ২০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা ঠিক করার পাশাপাশি ৫ লক্ষ টাকা অবসরকালীন ভাতা দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছিল।
মামলাকারীর অভিযোগ, তিনি সেইসময় কর্মরত ছিলেন। তাও কলেজ থেকে তাঁর নাম পাঠানো হয়নি। এ বিষয়ে তিনি শিক্ষা মন্ত্রী থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন তারপরেও কোনও সুরাহা হয়নি। অবশেষে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাকারীর আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী বলেন, ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর উচ্চ শিক্ষা দফতরের যে নির্দেশ রয়েছে সেই অনুযায়ী তাঁর মক্কেল সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়ার অধিকারী। তিনি একজন সরকারি অনুমোদিত অতিথি অধ্যাপক। বিচারপতি কৌশিক চন্দ ডিপিআই’কে বিষয়টি বিবেচনা করে বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দেন।