দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত এক আইনজীবীকে পুলিশি নিরাপত্তায় বাড়ি ফেরানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নদিয়ার চাকদহ থানার পুলিশকে এই নির্দেশ দেন। আগামীকালই তাঁকে বাড়িতে ফেরাতে হবে। পাশাপশি তার বাড়িতে নজরদারি চালানোর জন্য পুলিশকে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ওই আইনজীবী মুকুল বিশ্বাসকে প্রয়োজনে পুলিশি নিরাপত্তাও দিতে বলেছেন বিচারপতি।
হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মানিক, পেলেন ১ দিনের রক্ষাকবচ
মামলাকারীর আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের অনুগামীদের বে-আইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে মামলা লড়ার জন্য মামলাকারীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। তার চেম্বার, জিম, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। জেলা পুলিশের সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে গুলি, বোমা চলে। তারপর থেকে আইনজীবী বাড়ি ছাড়া। সরকারি আইনজীবী সব অভিযোগ অস্বীকার করে মামলাকরীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন।
শুনানি চলাকালীন সরকারি আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘রায় কী হবে সেটাও কি আপনি বলে দেবেন?’ মামালাকারীর আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধানের কথায় কাজ করছে পুলিশ। এরপরই বিচারপতি মামলাকারীকে নিরাপত্তার নির্দেশ দেন।
মামলাকারীর অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান পার্থ প্রতীম দে ওরফে পান বাপি গরু পাচার এবং অস্ত্র কারবারের সঙ্গে যুক্ত। চাকরি দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ রয়েছে তার নামে। সেই মামলা লড়ার জন্য আক্রোশ বশত তার ওপর হামলা করা হয়। তার কথায়, ‘আমাকে তার বিরুদ্ধে মামলা না লড়ার জন্য চাপ দিতে আমার নামে মিথ্যে মামলা করা হচ্ছে।’ মামালাকারী অবশ্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।