মতুয়া ঠাকুর বাড়ির তালা ভাঙা, মারধর সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এবং তাঁর পরিবার। হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দিয়েছেন, পুলিশ আপাতত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না। একই সঙ্গে পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শান্তনু ঠাকুরকে আগে পাঠানো পুলিশি নোটিশ খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেক্ষেত্রে হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, শান্তনুকে নতুন করে নতুন করে নোটিশ পাঠাতে হবে এবং তা পাঠাবে হবে ৭২ ঘণ্টা আগে। শুধু তাই নয়, সে ক্ষেত্রে শান্তনুদের ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলেই জানিয়েছে হাইকোর্ট। এই অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের এমন নির্দেশ ঘিরে শুরু হয়েছে চর্চা।
আরও পড়ুন: মমতাবালা ও তাঁর মেয়েকে 'শারীরিক নিগ্রহের' অভিযোগ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে!
এই সংক্রান্ত মামলায় শান্তনু ঠাকুরের বাবার নাম এফআইআরে ছিল না। তাসত্ত্বেও পুলিশ তাঁকে ডেকে পাঠায়। অন্যদিকে, ঠাকুর পরিবারের অন্য সদস্য মমতা বালা ঠাকুরের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু, পুলিশ তাঁকে ডেকে পাঠায়নি। এই নিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতির মতে, পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ যদি সমস্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে সমান গুরুত্ব দিত তাহলে এত জটিলতা তৈরি হত না।
প্রসঙ্গত, ঠাকুর বাড়ির মন্দিরের তালা ভাঙা, মারধর, শ্লীলতাহানি সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। পালটা মমতা বালা ঠাকুরের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়। রাজ্যের তরফে কলকাতা হাইকোর্টকে জানানো হয়, মন্দিরের দরজা ভাঙার ছবি, ভিডিয়ো সব টিভি মিডিয়ায় সম্প্রচার করা হয়েছে। এমনকী সিআরপিএফ জওয়ানরাও ভাঙচুর করেছেন।
এর পরে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, পুলিশের কাছে সেই সমস্ত ছবি বা ভিডিয়ো কোন ভিডিয়ো বা স্টিল ছবি আছে কি না। তবে তা পুলিশের কাছে নেই জানতে পেরেই বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, কিসের ভিত্তিতে পুলিশ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে এত শক্ত ধারা যুক্ত করেছে? পুলিশ কি অনুসন্ধান ছাড়াই এফআইআর করল? তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
অন্যদিকে, শান্তনু গোষ্ঠীর হামলায় কতজন ভক্ত আহত হয়েছেন? কত দিন হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তা জানতে চান বিচারপতি। তবে রাজ্যের কাছ থেকে যথাযথ উত্তর না মেলায় বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। আগামী ১০ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।