গান্ধী মূর্তির পাদদেশে নতুন করে ধরনায় বসার অনুমতি পেল না ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান চালিয়েছিলেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ২০১৪ সালের ৫০ জন চাকরিপ্রার্থী। সে ক্ষেত্রে তাদের ধারণার সময় সীমা বেঁধে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। তাতে নতুন করে আর তাদের ধরনায় বসার অনুমতি দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট।
TeT Scam: প্রাইমারির চাকরির জন্য তৃণমূল নেতা নিয়েছিল মাথাপিছু ৭ লাখ?কে সেই নেতা?
নিয়োগের দাবিতে ধরনার অনুমতি চেয়ে এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রার্থীরা। সে ক্ষেত্রে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা তাদের ৫ দিনের জন্য ধরনায় বসার অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা ধরনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানান প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য জানিয়ে দিয়েছেন, এর আগে প্রার্থীদের পাঁচ দিনের জন্য ধরনায় অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। অনির্দিষ্টকালের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই তারা আর ধরনা চালিয়ে যেতে পারবেন না। আদালতের এই নির্দেশের স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে প্রার্থীরা।
তাদের অভিযোগ, ২০০৯ সাল থেকে তারা বঞ্চিত। ওই বছর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। তারা পরীক্ষাও দিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূল সেই নিয়োগ বাতিল করে দেয়। পরে ২০১৪ সালে আবার ইন্টারভিউ হয়। অন্যান্য জেলাগুলিতে নিয়োগ হলেও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ক্ষেত্রে নিয়োগ হয়নি। তাদের অভিযোগ, এখনও প্যানেল প্রকাশ করা হয়নি। ১৩ বছর ধরে তারা এই নিয়োগের আশায় রয়েছেন। কিন্তু রাজ্য সরকার পদক্ষেপ না করায় বাধ্য হয়েই তাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে।