করোনা পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের বেসরকারি স্কুলের বেতন মকুবের আবেদন বিবেচনায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের নেতৃত্বাধীন এই কমিটির দ্বিতীয় সদস্য উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন প্রধান গোপা দত্ত। বেসরকারি স্কুলগুলির আয় ব্যায়ের হিসাব খতিয়ে দেখে বেতন কমানোর ব্যাপারে আদালতে সুপারিশ দেবে এই কমিটি।
লকডাউনে বেসরকারি স্কুলগুলির বেতন কমানোর দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। প্রায় সমস্ত বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুল বন্ধ থাকলেও পুরো বেতন নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও অনলাইনে পঠনপাঠন হওয়ায় খরচ হচ্ছে শুধুমাত্র টিউশন ফি। এই নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করে মামলা করেন বিনীত রুইয়া নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলাতেই বেসরকারি স্কুলের আয় ব্যায় খতিয়ে দেখতে ২ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন বিচারপতিরা তাঁদের নির্দেশে জানিয়েছেন, আগামী২৯ অগাস্টের মধ্যে রাজ্যের ১১২টি বেসরকারি স্কুলকে তাদের আয়ব্যায়ের হিসাব দিতে হবে। ২০১৯ এর জনুয়ারি থেকে জুলাই ও ২০২০-র জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের হিসাব দিতে হবে তাদের। comm.wp5890w@gmail.com ইমেইল আইডিতে পাঠাতে হবে হিসাব সংক্রান্ত নথি। এই ইমেল আইডির নিয়ন্ত্রণ শুধুমাত্র থাকবে কমিটির ২ সদস্যের হাতে। কোনও ভুলত্রুটি হলে তা সংশোধন করার জন্য ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত সময় পাওয়া যাবে। তবে কোনও বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন না কমিটির সদস্যরা। কথোপকথন চালাতে হবে ই-মেলে।ওই একই তথ্য হলফনামা আকারে আদালতে পেশ করতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষগুলিকে।
আদালত জানিয়েছে, ৩১ জুলাইয়ের পর ওই আয়ব্যায়ের হিসাব খতিয়ে দেখবেন কমিটির সদস্যরা। সেক্ষেত্রে পছন্দ মতো চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের সাহায্য নিতে পারেন তাঁরা। এজন্য কর্মীর প্রয়োজন হলে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের সঙ্গে দেখা করতে হবে কমিটির সদস্যদের।
আয়ব্যায়ের হিসাব খতিয়ে দেখে আদালতকে ফিজ কমানোর ব্যাপারে সুপারিশ করবে কমিটি। সেই সুপারিশ অনুসারে পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত। মামলার আগামী শুনানি ৭ সেপ্টেম্বর।