রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা ঠিক কী? আজ, মঙ্গলবার এই প্রশ্নই তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আজ একটি মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চান রাজ্যের কাছে। এমনকী বিষয়টি নিয়ে একটি বিস্তারিত গাইডলাইন তৈরি করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আর এই গাইডলাইন তৈরি করতে হবে রাজ্য পুলিশের আইজি–কে। আগামী ২৯ মার্চ তাঁকে কলকাতা হাইকোর্টে বিস্তারিত গাইডলাইন জমা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রাজ্যের কাছে কলকাতা হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কী ভূমিকা রয়েছে? কোন কোন কাজে ব্যবহার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ারদের? রাজ্যের পক্ষ থেকে কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে। আর তখনই বিস্তারিত গাইডলাইন তৈরি করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সম্প্রতি সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে বড় প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এই সিভিক ভলান্টিয়াররা ভাল কাজ করলে পদোন্নতি করে কনস্টেবল করা হবে। এই চিন্তাভাবনা রয়েছে নবান্নের। তারপর আদালত যা নির্দেশ দিল সেটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
অন্যদিকে কয়েকদিন আগে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সরশুনা থানার নাম জড়িয়ে যায়। ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ, দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার ওই যুবককে তুলে নিয়ে যায়। তবে সঙ্গে পুলিশও ছিল। যদিও তার পর আর ওই যুবককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তখনই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। আবার আদালতে নিহত আনিস খানের প্রসঙ্গ ওঠে। সেখানেও সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। সবকিছু শুনেই মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের কনস্টেবল পদে নিয়োগ করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে এই বিষয়ে প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন বিরোধীরা। এই পদোন্নতির আদতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে টোপ বলেই প্রচার করছে বিজেপি এবং সিপিআইএম। বাংলায় কয়েক হাজার যুবক সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করেন। তবে কাদের এই পদোন্নতি হবে সেটা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করবে স্বরাষ্ট্রদফতর। সেই রিপোর্টের উপরই অনেক কিছু নির্ভর করছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup