প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম কুশীলব ‘রঞ্জন’কে তলব করল আদালত। শুক্রবার তাঁকে আদালতে হাজিরা দিতে বলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়া নিয়োগ কমিটির ২ সদস্যকেও সেদিন আদালতে হাজির হতে বলেছেন বিচারপতি। তবে ছাড় দেওয়া হয়েছে ৮৫ বছর বয়সী আরেক সদস্য সিস্টার এমিলিয়াকে হাজিরা থেকে রেহাই দিয়েছে আদালত।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে বাগদার জনৈক তৃণমূল নেতার নাম প্রথম উল্লেখ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্তা উপেন বিশ্বাস। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে ‘রঞ্জন’ বলে উল্লেখ করে বছরখানেক আগে ইউটিউবে একটি বয়ান পোস্ট করেন উপেনবাবু। তাতে তিনি দাবি করেন, ওই ব্যক্তি মোটা টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরির নিশ্চিত ব্যবস্থা করে দেন। কোনও কারণে চাকরি দিতে না পারলে সুদ সমেত টাকা ফেরত দেয় রঞ্জন। উপেনবাবু আরও দাবি করেন, তিনি জানতে পেরেছেন, গাড়িতে বস্তা ভরে কলকাতা যেতেন রঞ্জন। সেই বস্তায় টাকা থাকতে পারে বলে অনুমার তাঁর। এর পর আদালতে তিনি জানান ‘রঞ্জন’ নামে উল্লেখ করা ওই ব্যক্তির আসল নাম চন্দন। এর পরই চন্দনের ভূমিকা তদন্ত করে দেখতে সিবিআইকে নির্দেশ দেয় আদালত।
ওদিকে উপেনবাবুর ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই বাগদায় নিজের বাড়িতে দেখা নেই চন্দন মণ্ডলের। তিনি কোথায় রয়েছেন তাও জানেন না পরিবারের সদস্যরা।
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার চন্দন মণ্ডলকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। হাজিরা এড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে জারি হতে পারে গ্রেফতারি পরোয়ানা।