করোনা আক্রান্ত হয়ে ইছাপুরের নিহত তরুণ শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের দেহের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পোস্ট মর্টেম থেকে শেষকৃত্যের প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। এই নিয়ে রাজ্যকে হলফনামাও জমা দিতে বলেছে আদালত।
ছেলের মৃত্যুর সুবিচার চেয়ে আগেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভ্রজিতের বাবা মা। ১৮ বছরের তরতাজা ছেলে কেন চলে গেল তার জবাব চাই বলে আদালতে আবেদন করেছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। তাতে শুভ্রজিতের মা-বাবার হয়ে সওয়াল করেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এই মৃত্যুতে একাধিক প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এর পর বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানান, শুভ্রজিতের দেহ ময়নাতদন্ত করতে হবে। তার পর তা দেখতে দিতে হবে তাঁর বাবা-মাকে। তাঁরা কোনও ধর্মীয় আচার পালন করতে চাইলে তা করতে পারবেন। এর প্রশাসন শুভ্রজিতের দেহ সৎকার করবে। দেহ সৎকারের স্থান ঠিক করবে প্রশাসনই। পোস্ট মর্টেম থেকে শেষকৃত্য গোটা প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে।
এছাড়া কেন একের পর এক হাসপাতা শুভ্রজিতকে ফেরাল ৩ সপ্তাহের মধ্যে তা আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছেন বিচারক।
গত শুক্রবার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ, কামারহাটি ইএসএআই হাসপাতাল ও বেলঘরিয়ার রথতলার একটি বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শুভ্রজিতকে। অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজেও তাঁকে ভর্তি নিয়ে অস্বীকার করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে এর পর হাসপাতালে আত্মহত্যার হুমকি দেন শুভ্রজিতের মা। তার পর তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা যুবকের ওই রাতেই মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়।
তার পর থেকে তাঁর দেহের ঠাঁই হয়েছে মেডিক্যাল কলেজের মর্গে। অভিযোগ, সন্তানের এভাবে মৃত্যুর পরেও দেহ দেখতে চাওয়ায় শুভ্রজিতের বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে একাধিক হাসপাতালের নামে বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শুভ্রজিতের বাবা ও মা।