একটি ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত করছেন এক পুরুষ পুলিশ অফিসার। তদন্ত হাতে নেওয়ার পরেই তিনি নাকি বারবার নির্যাতিতাকে ফোন করছেন। আর তাতেই বিব্রত হচ্ছেন নির্যাতিতা। বুধবার সেই সংক্রান্ত মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। সেই মামলায় এই অভিযোগ শুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি বিচারপতি। পুলিশ অফিসার কেন বারবার নির্যাতিতাকে ফোন করছেন তা সরকারি আইনজীবীকে খোঁজ নিতে বলেছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: ঝাড়ফুঁকের নামে বধূকে ধর্ষণের চেষ্টা, কুকীর্তি ফাঁস হতেই চেম্বার ছেড়ে পালাল ওঝা
এই মামলায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিতার আইনজীবীর অভিযোগ, পুলিশ অফিসার বারবার তাঁর মক্কেলকে ফোন করার ফলে তিনি অস্বস্তি বোধ করছেন। তাছাড়া, ওই পুরুষ পুলিশ অফিসার নির্যাতিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন। আইনজীবীর বক্তব্য, ধর্ষণের মতো কোনও ঘটনার ক্ষেত্রে নির্যাতিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য একজন মহিলা পুলিশ কর্মী নিয়ে যাবেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সে কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু, ওই থানায় এক মহিলা পুলিশ কর্মী থাকা সত্ত্বেও তাঁকে পাঠানো হয়নি। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই পুলিশ অফিসার নিজে গিয়েছিলেন। পুলিশ আদালতের নিয়ম মানেনি বলে অভিযোগ তোলেন আইনজীবী।সে সংক্রান্ত মামলায় আজ তদন্তকারী অফিসারকে কেস ডায়েরি নিয়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, নারী নির্যাতনের মতো ঘটনায় মহিলাদের অভিযোগ জানানোর সুবিধার্থে একাধিক মহিলা থানা তৈরি হয়েছে। তাছাড়া, থানায় মহিলা পুলিশও রয়েছে। তা সত্ত্বেও একজন পুরুষ পুলিশ দিয়ে কেন ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে নির্যাতিতাকে নিয়ে গিয়েছিলেন? তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী। এই অবস্থায় উপ নগরপাল পদের কোনও মহিলা অফিসারকে দিয়ে এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতার আইনজীবী। যদিও রাজ্যের তরফে সরকারি কৌঁসুলি জানান, তিনি এদিন মামলার সওয়াল জবাবের জন্য প্রস্তুত নন। তাই আজ বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারপতি। মামলায় তদন্তকারী অফিসারকে কেস ডায়েরি নিয়ে হাজির হওয়ার পাশাপাশি কেন তিনি বারবার নির্যাতিতাকে ফোন করছেন সে বিষয়টি সরকারি আইনজীবীকে জানাতে বলেছেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, ওই নির্যাতিতা চলতি মাসে গল্ফগ্রিন থানায় ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। নির্যাতিতার অভিযোগ, ওই পুরুষ অফিসার তাঁর বয়ান লিখেছেন।