অ্যাক্টিং চিফ জাস্টিস রাজেশ বিন্দালের নেতৃত্বে কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে কোনও রায় দেয়নি। সিবিআই আইন শৃঙ্খলা সমস্যার কথা উল্লেখ করে মামলাটিকে রাজ্যের বাইরে স্থানান্তরের আবেদন করেছিল। বেঞ্চ জানিয়েছে, যথার্থ সময়ে এফিডেভিট জমা না দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী যে কারণ উল্লেখ করেছিলেন তা খতিয়ে দেখে বুধবার অর্ডার পাশ করা হবে। প্রসঙ্গত তাঁদের এফিডেভিটটা নথিভুক্ত করতে সোমবার মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও মলয় ঘটক নতুন আবেদন করেছেন।
এদিকে গত ২৪শে মে সিবিআই আদালতের কাছে আবেদন করে জানিয়েছিল যে মামলাটিকে রাজ্যের বাইরে স্থানান্তরিত করা হোক। তাঁদের তরফে মূল পয়েন্ট ছিল যে গত ১৭ই মে শাসক তৃণমূলের তরফে হিংসাত্মক প্রতিবাদ দেখানো হয়েছিল। এদিকে এরপর মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী সিবিআইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পালটা আবেদন করার সময়সীমার মধ্যে আবেদন করতে পারেননি। এরপর ৯ই জুন হাইকোর্ট এফিডেভিটটি রেকর্ড করতে চাননি। এরপরই ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
মঙ্গলবার সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনমন্ত্রীর আবেদনের বিরোধিতা করেন। সিবিআইয়ের অভিযোগ, নারদ মামলায় চারজন হেভিওয়েটকে গ্রেফতার করার পর মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও অন্যান্য তৃণমূল নেতারা সিবিআই আধিকারিকদের যথাযথ কর্তব্য পালনে বাঁধা দেওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর তরফে অ্যাডভোকেট রাকেশ দ্বিবেদীর দাবি, ‘কোনও বিষয়কে নাকচ করার ক্ষেত্রে এফিডেভিট জমা দিতে দেরি হওয়ার বিষয়টি কারণ হতে পারে না।’