পশ্চিমবঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য যে কোনও রকম মাঞ্জা নিষিদ্ধ করল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার একটি মামলার রায়ে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। চিনা মাঞ্জা-সহ যে কোনও মাঞ্জা নিষিদ্ধ করতে রাজ্য সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের এই নির্দেশে রাস্তায় মাঞ্জার জন্য দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বন্ধ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কলকাতার রাস্তায় ঘুড়ির মাঞ্জায় আহত হন এক আইনজীবী। মাঞ্জায় তাঁর থুতনি কেটে যায়। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর দায়ের করা মামলাতেই এদিন মাঞ্জা নিষিদ্ধ করেছে আদালত।
কলকাতার রাস্তায় বিশেষ করে মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে মাঞ্জা। ঘুড়ি কেটে যাওয়ার পর রাস্তায় ও উড়ালপুলে আড়াআড়ি ভাবে পড়ে থাকে মাঞ্জা। আর সরু সুতো দূর থেকে সব সময় দেখাও যায় না। ফলে মাঞ্জার টানে কেটে যায় আরোহীর নাক, মুখ, গলা। এভাবে গত কয়েক বছরে কলকাতার রাস্তায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু।
সমস্যা আরও গভীর হয়েছে চিনা মাঞ্জার ব্যবহারে। সস্তার এই মাঞ্জা তৈরি হয় খুব শক্ত এক ধরণের প্লাস্টিক দিয়ে। যা নিষিদ্ধ করতে গত এপ্রিলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার। তার পরও অনেকের কানেই কথা ওঠেনি বলে অভিযোগ। এবার আদালতের রায়ের পর মাঞ্জা সুতো-সহ ধরা পড়লেই সোজা তাদের ঠিকানা হবে শ্রীঘর।