বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Calcutta University Syndicate Meet: সরকারের নিষেধকে বুড়ো আঙুল! রাজ্যপালের অনুমতিতে সিন্ডিকেট বৈঠক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে
পরবর্তী খবর
Calcutta University Syndicate Meet: সরকারের নিষেধকে বুড়ো আঙুল! রাজ্যপালের অনুমতিতে সিন্ডিকেট বৈঠক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে
টিএমসিপির অভিযোগ, সিন্ডিকেটের বৈঠক চলাকালীন সেখানে বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া ঢুকেছিলেন। এদিকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য না-থাকায় শংসাপত্র পাচ্ছেন না ছাত্র-ছাত্রীরা। এছাড়াও আরও একাধিক ইস্যুতে সমস্যা হচ্ছে। তাই আলোচনা করতে এই বৈঠক ডাকা হয়।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
সিন্ডিকেট বৈঠক ইস্যুতে বিকাশ ভবন এবং রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু পৃথক ভাবে চিঠি পাঠিয়েছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে। বৈঠকটি করতে বারণ করা হয়েছিল। তবে সেই নিষেধকে তোয়াক্কা করল না কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এই আবহে মঙ্গলবার সিন্ডিকেট বৈঠক বয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোসের অনুমতি নিয়েই মঙ্গলবারে সিন্ডিকেট বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত। এদিকে এই বৈঠকের বিরোধিতায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফ থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছিল। এদিকে অন্তর্বতী উপাচার্যের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু বিষয় আটকে রয়েছে। তাই সেই সব ইস্যুর সমাধান সূত্র বের করতে এই বৈঠক প্রয়োজনীয় ছিল। (আরও পড়ুন: 'GST-র এক টাকাও বকি নেই, ৪ বছরে AG-র কোনও রিপোর্ট দেয়নি বাংলা', বললেন নির্মলা)
এদিকে গতকালকের এই বৈঠকের আগে গত সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, 'সুপ্রিম কোর্ট আগেই বলেছে স্থায়ী উপাচার্য না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে কোনও বৈঠক বা কনভোকেশন ডাকতে পারে না। সেই কথাটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।' যদিও ভারপ্তাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দাবি করেন, পড়ুয়াদের স্বার্থে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'কী কী কারণে এই বৈঠক জরুরি তা দু'বার উচ্চশিক্ষা দফতরকে চিঠি লিখে জানিয়েছি। কিন্তু দফতর থেকে কিছু জানানো হয়নি। তাই শেষে আচার্যের থেকে অনুমতি নিয়েই বৈঠক করি।'
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলের বৈঠকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়েও কথা হয়েছে। এদিকে ২০২২ সালের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য না-থাকায় শংসাপত্র পাচ্ছেন না ছাত্র-ছাত্রীরা। এমতাবস্থায় চাকরিতে যোগদান করতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। সিন্ডিকেট বৈঠকে এই সব বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এদিকে বৈঠক নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, এই বৈঠক অবৈধ। নিজেদের দাবিকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ধরনায় বসেন টিএমসিপি নেতা ও সমমনোভাবাপন্ন পড়ুয়া। টিএমসিপির আরও অভিযোগ, সিন্ডিকেটের বৈঠক চলাকালীন সেখানে বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া ঢুকেছিলেন। এই বিক্ষোভ আন্দোলন নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি উপাচার্য।