নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে চাকরি বিক্রির অন্যতম দালাল প্রসন্নকুমার রায়ের জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। শনিবার প্রসন্ন রায়ের জামিনের আবেদন খারিজ করে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার প্রসন্নর স্ত্রীর নিউ টাউনের বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। তার পর দিন আদালতে খারিজ হয়ে গেল প্রসন্নর জামিনের আবেদন।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে প্রথম যারা গ্রেফতার হয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম প্রসন্ন রায়। তাঁর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে আদালতে সিবিআই জানায়, প্রসন্ন রায় এই দুর্নীতির অন্যতম কিং পিন। বিধাননগরে ট্রাভেল এজেন্সির আড়ালে চাকরি বিক্রির কারবার চালাতেন তিনি। জেলা থেকে চাকরি বিক্রির সমস্ত টাকা তাঁর কাছেই আসত। তার পর সেই টাকা পৌঁছে যেত প্রভাবশালীদের কাছে। এমনকী শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে তাঁর আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। শুধু নগদে নয়, প্রসন্ন ও তাঁর আত্মীয়দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও চাকরি বিক্রির টাকা ঢুকত। সেই টাকায় রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে অন্তত ৪৬৩টি সম্পত্তি কিনেছেন তিনি।
আদালতে সিবিআই আরও জানায়, প্রসন্ন রায়কে জামিন দিতে তথ্যপ্রমাণ লোপাট হতে পারে। তাঁকে জেরা করে আরও বহু তথ্য জানা দরকার। তদন্তের বিভিন্ন ধাপে তাঁকে জেরা করা প্রয়োজন হতে পারে। ইডিরও তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখে, প্রসন্নর জামিনের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত বছর অগাস্টে প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। ব্যক্তিগত পরিচয়ে তিনি জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্নীর স্বামী। গ্রেফতারির পর প্রসন্নর সম্পত্তি দেখে অবাক হয়ে যান তদন্তকারীরাও।