আবাসন থেকে বিড়ালদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই খবরকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই নানা টানাপোড়েন চলেছে বাইপাসের ধারের অভিজাত আবাসনে। অবশেষে রবিবার রুচিরা রেসিডেন্সির আবাসিকরা নিজেদের মধ্যে মিটিং করে বিড়ালদের সুরক্ষা দিতে এগিয়ে এলেন। একেবারে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কীটনাশাক বা স্যানিটাইজার জাতীয় কিছু স্প্রে আর করা যাবে না। এক্ষেত্রে হাউজিং কমপ্লেক্সের সভাপতি ও সম্পাদকের লিখিত অনুমতি লাগবে। না হলে এই ধরনের কীটনাশক বা স্যানিটাইজার জাতীয় স্প্রে করা যাবে না।
আসলে এই আবাসনে কয়েকটি বিড়াল ঘুরঘুর করছিল। আবাসিকদের মধ্য়ে কয়েকজন সম্ভবত সেই বিড়াল তাড়াতে কীটনাশক জাতীয় কিছু স্প্রে করেছিলেন বলে অভিযোগ। তারপরই একেবারে হইহই কাণ্ড। আবাসনের অন্তত দুজন আবাসিক কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কাছে লিখিতবাবে এনিয়ে অভিযোগ জানান। এরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
এরপর সোমবার কয়েকজন আবাসিক গিয়ে পুলিশের সঙ্গে দেখাও করেন। পুলিশ এনিয়ে খোঁজখবর শুরু করে। তবে কারোর বিরুদ্ধে কোনও ক্রিমিনাল চার্জ গঠন করেনি।
ওই হাউজিং কমপ্লেক্সের প্রেসিডেন্ট সীমা পাল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, এই ধরনের ঘটনায় আমরা খুব কষ্ট পেয়েছি। এভাবে পশুদের উপর অত্য়াচার কোনওভাবেই মানা যায় না। পথে ঘাটে ঘুরে বেড়ানো কুকুর বিড়ালরা মানুষের পাশাপাশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এভাবে কোনও পশুকে ক্ষতি করার পক্ষে আমরা নই।
এদিকে কারা এই ধরনের কীটনাশক ছড়াল তা নিয়ে কার্যত অন্ধকারে রয়েছে আবাসনের কমিটির লোকজন।
এদিকে আবাসনের আবাসিকরা পরবর্তী সময়ে দেখেন একটি প্লাস্টিকের বোতলের মধ্যে হলুদ মতো তরল জাতীয় কিছু রয়েছে। তার উপর আবার লেখা রয়েছে CITRANOLA। এদিকে সিট্রানেলা জাতীয় উপাদান সাধারণত পোকামাকড় তাড়াতে কাজে লাগে। এদিকে এই ধরনের উপাদানের গন্ধে বিড়ালরা কাছে ঘেষে না। মনে করা হচ্ছে বিড়াল তাড়ানোর জন্য সেই সিট্রানেলাই ব্যবহার করা হয়েছিল। এদিকে এই সিট্রানেলা জাতীয় তরল খেয়ে ফেললে বিড়াল জাতীয় প্রাণী অসুস্থ হয়ে পড়ত পারে। এমনকী তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এদিকে আবাসন সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে ওখানে ৬টি বড় বিড়াল ও ৯টি বিড়াল বাচ্চা রয়েছে। এদিকে ওই ওই কীটনাশক স্প্রে করার জেরে ওই বিড়ালগুলো এলাকাছাড়া হয়ে যায়। তারপরই এলাকায় হইচই পড়ে যায়। এদিকে এলাকায় রটে দুটো বিড়াল নাকি মরেও গিয়েছে। তাদের খালের জলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে এবার বিড়াল বাঁচাতে এগিয়ে এল আবাসন কমিটি।