জ্ঞানেশ্বরী নাশকতায় মৃত্যুই হয়েছে কলকাতার বাসিন্দা অমৃতাভ চৌধুরীর। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে একথা জানিয়ে ফাইল ক্লোজ করে দিল সিবিআই। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পুত্রশোক ভোলার জন্য অন্য এক যুবককে ছেলে সাজিয়ে বাড়িতে রেখে দিয়েছিলেন অমৃতাভর বাবা - মা। তার জেরেই এই বিভ্রান্তি।
২০১০ সালে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস নাশকতায় মৃত্যু হয়েছিল কলকাতার পাথুরিয়াঘাটার বাসিন্দা অমৃতাভ চৌধুরীর। এর পর ক্ষতিপূরণ হিসাবে রেলে চাকরি পান তাঁর বোন। শিয়ালদা স্টেশনে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। এর পর রেলের দুর্নীতি দমন শাখার কাছে অভিযোগ আসে জীবিত অমৃতাভকে মৃত দেখিয়ে চাকরি করছেন তাঁর বোন। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।
তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে অমৃতাভর মৃত্যুর পর তাঁর মায়ের শরীর দিন দিন খারাপ হচ্ছিল। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছিল। বেশ কিছু বছর পর অমৃতাভর বাবা বিহারের বাসিন্দা এক যুবককে অমৃতাভ সাজিয়ে পাথুরিয়াঘাটার বাড়িতে নিয়ে আসেন। এর পর তাঁকে অমৃতাভ চৌধুরী নাম দিয়ে দত্তকও নেন। প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের জানান, বিহারে ছেলেকে খুঁজে পেয়েছেন তিনি। তবে দুর্ঘটনায় তাঁর স্মৃতি লোপ পেয়েছে।
ওদিকে প্রতিবেশীরা দেখেন মৃত অমৃতাভ জীবিত হয়ে ফিরে এসেছেন। এতেই খটকা লাগে তাঁদের। তদন্তে অমৃতভার বাবা ও নকল অমৃতাভ গোটা ঘটনা স্বীকার করেছেন। তাঁদের দেওয়া তথ্য যাচাই করতে নকল অমৃতাভের সঙ্গে আসল অমৃতাভের বাবার ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। তাতে দেখা যায়, দুজনের ডিএনএতে কোনও মিল নেই। এর পরই আদালতে ফাইল ক্লোজ করতে চেয়ে আবেদন করে সিবিআই।