SSC-র নবম দশমের পর এবার প্রকাশ্যে এল গ্রুপ ডি পরীক্ষার ওএমআর শিট। আর তাতে দেখা যাচ্ছে, শূন্য পেয়েও অনেকে রয়েছেন মেধাতালিকায়। সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য। মামলাকারীদের হাতে সেই মেধাতালিকা ও OMR শিট তুলে দিয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। তাতে সবার চক্ষু চড়কগাছ।
নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে শূন্য পেয়েও অন্তত ১০ জন নিয়োগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছে CBI. প্রকাশ্যে এসেছে তাদের OMR শিট। গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে তার থেকে ১ কাঠি ওপরে। এখানে শূন্য যারা পেয়েছেন তারা শুধু নিয়োগই পাননি, মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তাঁরা।
মামলাকারীদের হাতে আসা সিবিআইয়ের তথ্য অনুসারে আপাতত ৫০ জনের তালিকা পেয়েছেন তদন্তকারীরা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার এই প্রার্থীরা প্রত্যেকেই পরীক্ষায় শূন্য পেয়েছেন। অথচ এসএসির খাতায় তাদের প্রত্যেকের নম্বর ৪৩। এদের প্রত্যেকেই নিয়োগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ। এমনকী এদের মধ্যে অনেকের নাম সংশ্লিষ্ট জেলার মেধাতালিকায় রয়েছে।
সিবিআইয়ের বিস্ফোরক দাবি, এই ৫০ জনকে নিয়োগ দিয়ে ভুয়ো OMR শিট তৈরি করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আসল OMR শিট গোপন করে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে নকল OMR শিট। কিন্তু গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হার্ড ডিস্ক থেকে ফাঁস হয়ে গিয়েছে সব জারিজুরি। শুধু মেধাতালিকা নয়, ওয়েটিং লিস্টেও এভাবে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ।
তালিকা অনুসারে, দক্ষিণ দিনাজপুর ও হাওড়ায় ৭ জন করে শূন্য পেয়েছেন। তাদের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরে ১ জন মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। বাঁকুড়ায় শূন্য পেয়ে চাকরি পেয়েছেন ৬ জন। তাদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ১ জন। বীরভূমে ৩ জন শূন্য পেয়ে চাকরি পেয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন ১ জন। হুগলিতে শূন্য পেয়ে চাকরি পেয়েছেন ৩ জন। তাদের মধ্যে ২ জন প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান আলো করে রয়েছেন। মালদায় সর্বোচ্চ ১৫ জন শূন্য পেয়েছেন। এছাড়া কোচবিহারে শূন্য পেয়েছেন ২ জন।
মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলছি ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই সব প্রকাশ্যে আসবে।’