কেন্দ্রীয় সরকার গম দেওয়া রেশনে বন্ধ করেছে। রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে রেশন গ্রাহকদের গম পাওয়ার কথা। সেই গম কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে মিলছে না। রাজ্য প্রকল্পে প্রায় সওয়া তিন কোটি রেশন গ্রাহককে গমের বদলে চাল দিতে গিয়ে খরচ বেড়েছে সরকারে। এই গমের জোগান কমে যাওয়ায় খোলাবাজারে আটার দামও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এফসিআইয়ের কাছ থেকে গম কিনে রাজ্য রেশনে সরবরাহ করত। খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, কেন্দ্রী্য সরকার রেশনে গম দেওয়া বন্ধ করেছে। তার উপর পেট্রল–ডিজেলের দাম বেড়েছে মাত্রাছাড়া। পরিবহণ খরচ–সহ প্রতি কেজি গমের খরচ পড়ে ২৫ টাকার কাছাকাছি। সেখানে চাল কিনতে বেশি খরচ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সাধারণ মানুষ যেন খাবার নিয়ে কষ্ট না পান। কেন্দ্র বন্ধ করলেও মানুষের মুখে খাবার তুলে দেবে রাজ্য।
আর কী জানা যাচ্ছে? ১ নম্বর রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকরা মাসে মাথাপিছু ৩ কেজি চাল এবং ২ কেজি গম পেতেন। ২ নম্বর খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকদের ১ কেজি করে চাল এবং গম দেওয়া হতো। দু’টি ক্ষেত্রেই গম পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। আর জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকদের জন্য কেন্দ্র গম সরবরাহ করলেও সেই পরিমাণ কম।
কেন গম বন্ধ করল কেন্দ্র? গমের মজুত ভাণ্ডারে টান পড়েছে। তাই রফতানি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দেশে সরবরাহ ছাঁটাই করেছে কেন্দ্র। তাতে রেশন গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘গম না পাওয়ায় গ্রাহকরা ডিলারদের কাছে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। খোলাবাজার থেকে আটা কিনতে গিয়েও পকেটে টান পড়ছে মানুষের।’