এবার অনগ্রসর শ্রেণির উন্নয়নে বড় পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। তফসিলি জাতির জন্য বাজেট বাড়ানোর কথা বুধবার নবান্নে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী চাকরি ক্ষেত্রেও তাঁদের জন্য সংরক্ষণ বাড়িয়ে দিলেন তিনি। এখন থেকে ২২ শতাংশ সংরক্ষিত করা হল পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য। আবার বলাগড়ের বিধায়ক তথা দলিত সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে এবার দলিত সাহিত্য সম্মেলন আয়োজন করার গুরুদায়িত্ব দেওয়া হল।
এই বিধায়ক অনেকবার রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন। আবার মানুষের দুঃখ–দুর্দশা দেখে ঘুম আসে না তাঁর। মাঝরাতে জেগে থাকেন তিনি। এমন সব কথা বলেছিলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। এবার বিধায়কের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবার থেকে প্রতি রাজ্যের দলিত সাহিত্যিকদের নিয়ে একটি সাহিত্য সম্মেলন হোক। আপনি গোটা বিষয়টি আয়োজন করুন।’ এদিনই প্রথম রাজ্যে নবগঠিত তফসিলি জাতি উন্নয়ন কাউন্সিলের বৈঠক হল। সব সদস্যকে নিয়ে আলোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই এই সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে মনোরঞ্জন ব্যাপারীর আর্জি মেনে বলাগড়ে দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির একটি শাখা খোলা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই কথা শোনার পর বিধায়কও কৃতজ্ঞতা জানান মুখ্যমন্ত্রীকে। সাহিত্য অ্যাকাডেমির একটি লোগোও মমতা নিজে হাতে এঁকে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় এসেই তফসিলি জাতি, উপজাতির উন্নয়নে পৃথকভাবে সিডিউলড কাস্ট অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল তৈরি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের মধ্যে প্রথম কোনও অনগ্রসর শ্রেণির জন্য এই ধরনের বোর্ড তৈরি হয়েছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
অন্যদিকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে তফসিলি পড়ুয়াদের জন্য ইংরাজি মাধ্যম স্কুল তৈরি হচ্ছে। ‘শিক্ষাশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে পড়াশোনার খরচ চলছে। এবার থেকে তাঁদের উচ্চশিক্ষার জন্য স্বল্পসুদে ঋণ দেওয়া চালু হচ্ছে। তফসিলি জাতির বহু মহিলা রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। তাঁদের ‘কাস্ট সার্টিফিকেট’ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ বেশ সফল।