এবারের দুর্গাপুজোর পরই বাংলায় করোনাভাইরাস বেড়েছে। আর তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেও এটা করেছিলেন। এবারও তা করেছেন। আর করোনাভাইরাসের আবহে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নও উঠেছিল। এমনকী এই নিয়ে মামলাও হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তার পরে আদালত এবং সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়। যদিও তা কাউকে মানতে দেখা যায়নি। মণ্ডপে মণ্ডপে জনস্রোত আছড়ে পড়ে। মাস্কবিহীন মুখ দেখা যায়। পুলিশ–প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। তবে পুজোর শুভেচ্ছাবার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, দায়িত্ববোধ আর সচেতনতার সঙ্গেই পালিত হয়েছে দুর্গাপুজো।
এই দাবি মেনে নিতে নারাজ বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সেই শুভেচ্ছাবার্তা দেওয়া চিঠি সমাজের বিভিন্ন মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলায় প্রকাশিত হয়েছে সেই চিঠির বয়ান। কী লেখা আছে সেখানে? সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী অতিমারির মধ্যেই সচেতন দায়িত্ববোধের সঙ্গে পালিত হল আমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব। এই সচেতনতা ও সহযোগিতার জন্য আমরা সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।’
বিরোধীদের দাবি, দুর্গাপুজোয় যে ভিড় দেখা গিয়েছে তা কোনও সংযমকে প্রমাণ করে না। আবার এই ভিড় প্রতিরোধে পুলিশকে নিষ্ক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছে। ফলে সরকার এবং আদালতের কোনও গাইডলাইন মানা হয়নি। শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোর ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। পুজোর মূল উদ্যোক্তা সুজিত বসু’র বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি তার নিজের দফতর অর্থাৎ দমকলের নিজস্ব গাইডলাইনও মানেননি।
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজো চলাকালীনই বারবার চিকিৎসকরা ভিড় নিয়ে সতর্ক করেন মানুষকে। পুজোর পর করোনাভাইরাস নতুন করে বাড়তেও থাকে। এই পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘সচেতনতা আর দায়িত্ববোধের সংজ্ঞা কী? সংজ্ঞা তো তৃণমূল কংগ্রেস নিজেই তৈরি করেছে। রাজ্য সরকারের যেমন সচেতনতা আর দায়িত্ববোধ তেমনটাই পুজোমণ্ডপে প্রতিফলিত হয়েছে।’