বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > তাজপুর বন্দরের নথি আদানির হাতে তুলে দিলেন মমতা, বিজয়াতে শিল্পদিশা

তাজপুর বন্দরের নথি আদানির হাতে তুলে দিলেন মমতা, বিজয়াতে শিল্পদিশা

তাজপুর বন্দর সংক্রান্ত নথি তুলে দেওয়া হল আদানি গ্রুপের হাতে। টুইটার করণ আদানি

টুইট করে করণ আদানি লিখেছেন, বাংলার প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর। শুধু বন্দর তৈরি করব না, পূর্বভারতের জলপথের গেটওয়ে গড়ে উঠবে।

রাজ্য সরকারের বিজয়া সম্মিলনী। সেখানে একেবারে চাঁদের হাট। আর সেই অনুষ্ঠানে রাজ্যে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে বড় ধাপ এগিয়ে গেল রাজ্য সরকার। এদিন বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে তাজপুর বন্দরের নথিপত্র হস্তান্তরিত করা হল আদানি গ্রুপকে। এদিকে আদানি কর্তা গৌতম আদানি এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এদিন আদানিপুত্র করণ আদানির হাতে তাজপুর বন্দরের নথি তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল আদানি গোষ্ঠীর হাতে বন্দর তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হবে। রাজ্য মন্ত্রিসভা সেই উদ্যোগে ছাড়পত্র দিয়েছিল। এবার সেই সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দেওয়া হল আদানিপুত্রের হাতে।

 

এদিন একাধিক শিল্পপতি উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে। সেখানে সমাজের অন্যান্য অংশের প্রতিনিধিরাও হাজির ছিলেন। সেখানে শিল্পদ্যোগী সহ সকলকে মুখ্য়মন্ত্রী বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান। এরপরই সকলকে সাক্ষী রেখে তিনি তাজপুর বন্দর সংক্রান্ত নথি তুলে দেন আদানিপুত্রের হাতে। দ্রুত এখানে কাজ শুরু হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অন্য়দিকে তাজপুরে সমুদ্র বন্দর তৈরি হলে জলপথে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বড় দিগন্ত খুলে যাবে। পাশাপাশি বর্তমানে হলদিয়া বন্দরের উপর যাবতীয় চাপ রয়েছে। নাব্যতার দিক থেকেও কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে তাজপুর বন্দর পুরোপুরি চালু হলে হলদিয়া বন্দরের উপর থেকে চাপ অনেকটাই কমবে। এর জেরে কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে। স্থানীয়দের কাজের সুযোগও বাড়তে পারে। বাণিজ্যক্ষেত্রেও বড় প্রসারলাভ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

টুইট করে করণ আদানি লিখেছেন, বাংলার প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর। শুধু বন্দর তৈরি করব না, পূর্বভারতের জলপথের গেটওয়ে গড়ে উঠবে।

বন্ধ করুন