কলেজে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল কলেজ সার্ভিস কমিশন। এর আগে এক মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ চাকরীপ্রার্থীদের নাম, রোল নম্বরের সঙ্গে কেন প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কমিশনকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে একটি হলফনামা জমা দিতে বলে। আগামী ১৩ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল কলেজ সার্ভিস কমিশন।
২০২০ সালে কলেজ সার্ভিস কমিশন একটি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয় প্যানেল। সেই প্যানেলে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন মোনালিসা ঘোষ নামে এক প্রার্থী।
আদালতে তাঁর অভিযোগ ছিল প্যানেলে নাম রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রকাশিত হলেও নম্বর প্রকাশ হয়নি। আদালতের কাছে তিনি নম্বর-সহ প্যানেল প্রকাশের দাবি জানান।)
(পড়তে পারেন। বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের 'শৌর্য জাগরণ যাত্রা'র অনুমতি দিল হাইকোর্ট)
(পড়তে পারেন। দলের 'সেকেন্ড লিডারশিপ' তৈরি! দিল্লি পর্বে অভিষেক কি তা প্রমাণ করতে পারলেন?)
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ সেই প্যানেল দেখে জানাতে চান কেন প্যানেলে নম্বর রাখা হল না? এই নিয়ে কমিশনের কোনও বিশেষ নীতি রয়েছে কি না তা জানতে চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কমিশন জানায় এ নিয়ে বিশেষ কোনও নীতি নেই। প্রাপ্ত নম্বর ও গবেষণাপত্র দেখেই নম্বর প্রকাশ করা হয়।
কেন কমিশনের আইনে প্যানেল প্রকাশের সংজ্ঞা বলা নেই তা দেখে অবাক হন বিচারপতি। তিনি কলেজ সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেন এই নিয়ে অবিলম্বে হলফনামা দিতে আদালতে। ১০ দিনের মধ্যে এই হলফনামা জমা দিতে বলেন। কিন্তু তার আগেই কালকাতা হাইকোর্টেরই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল কমিশন। বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে কলেজ সার্ভিস কমিশন। চলতি সপ্তাহে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।