সকাল থেকে কলকাতা শহরের সর্বত্র পুরসভা নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ শান্তিপূর্ণ পুরভোটের দৃষ্টান্ত গড়তে চায় কলকাতা পুলিশ। সেখানে সাতসকালেই অভিযোগ উঠল, মকপোলের আগেই কংগ্রেসের এজেন্ট বসানোকে কেন্দ্র করে মারধর হয়েছে। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে কলকাতা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড। এমনকী টাকি বয়েজ এবং টাকি গার্লস স্কুলে দফায় দফায় সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে। এই ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী নন্দন ঘোষের দাবি, তাঁদের এজেন্টকে বসতে দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের এজেন্টকে মারধর করা হয়েছে।
কংগ্রেস পোলিং এজেন্টকে মারধর করার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেখানে দেখা যায় অতিরিক্ত পুলিস ফোর্স। কলকাতা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে এই টাকি বয়েজ স্কুল। সেখানে ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই গোলমাল বাধে। পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস প্রার্থী নন্দন ঘোষের বচসার ছবি ধরা পড়ে। তাঁর অভিযোগ, ‘কংগ্রেসের এজেন্ট বুথে বসতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। মারধর করা হয়।’ এরপরই বুথের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে কংগ্রেস প্রার্থী এবং পোলিং এজেন্টরা। যদিও পুলিশ কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টদের ভিতরে ঢোকার ব্যবস্থা করে দেয়।
ঠিক কী অভিযোগ কংগ্রেস প্রার্থীর? রবিবার সকালে কংগ্রেস প্রার্থী নন্দন ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘আমাদের এজেন্টকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন ফ্রেশ ইলেকশন হবে। অথচ গুন্ডাবাহিনী দিয়ে মারল আমাদের এজেন্টকে। পুলিশ দাঁড়িয়ে ঠুঁটো জগন্নাথ। তৃণমূলের গুন্ডারা কীভাবে মারধর করল। সংবাদমাধ্যম চলে আসায় এজেন্ট বসাতে পারলাম।’
বেলেঘাটায় ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে খান্না হাইস্কুলে বুথের সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। নির্বাচন কমিশনের দাবি, সিসি ক্যামেরা স্কুলের। তাই ঢেকে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, পুলিশ মারধরের ঘটনায় কোনও গুরুত্বই দেয়নি। পুলিশ থাকা সত্ত্বেও এই মারধরের পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে অভিযোগ কংগ্রেস প্রার্থীর।