করোনাকালে ৪ পুরনিগমে ভোটগ্রহণের দিন বদল না করলেও একগুচ্ছ নতুন বিধিনিয়ম আরোপ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিধিনিয়মের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তাতে প্রচারে কোনও বাধা না থাকলেও জনসমাগম রোধে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। যদিও কমিশনের এই নির্দেশে খুশি নয় বিজেপি।
এদিন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়িতে ভোট হবে ২২ জানুয়ারি। তবে ভোটপ্রচার শেষ হবে ৭২ ঘণ্টা আগে। বাড়বাড়ি গিয়ে প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারে অংশগ্রহণ করতে পারবেন মাত্র ৪ জন। সাইকেল, বাইক বা গাড়ি নিয়ে কোনও মিছিল করা যাবে না। কোনও সভায় ৫০০-র বেশি লোক জড়ো করা যাবে না। সভার প্রবেশ ও বাহির পথ আলাদা করতে হবে। বন্ধ জায়গায় সভা হলে ২০০-র বেশি মানুষের উপস্থিতি রোধ করতে হবে। প্রচার চলবে সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
ভোটগ্রহণে বুথ ম্যানেজমেন্টেও নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন। নির্দেশিকা অনুসারে, ভোটগ্রহণের আগের দিন সমস্ত বুধ ও বুথ চত্বর স্যানিটাইজ করা হবে। বুথের ভিতরে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ। বুথে ঢোকার আগে থার্মাল স্ক্যানিং বাধ্যতামূলক। প্রত্যেক ভোটারকে স্যানিটাইজার ও এক হাতের গ্লাভস দেওয়া হবে। ভোটগ্রহণের শেষ এক ঘণ্টা ভোট দেবেন করোনা আক্রান্তরা।
কমিশনের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এভাবে ভোট হয় না। এত নিয়মের ভয়ে যদি ভোটাররা না বেরোন তাহলে এই নির্বাচনকে সফল বলা যাবে না।’