লকডাউনের কলকাতায় বিভিন্ন কলকাতার মসজিদ থেকে ৩৯ জন ইসলামিক ধর্মপ্রচারককে উদ্ধার করে কোয়ারেনটাইনে পাঠাল রাজ্য প্রশাসন। নিউ টাউনে মদিনাতুল হুজ্জাজ-এ ওই ধর্মপ্রচারকদের ছাড়াও আরও ১৪ জন বিদেশিকে কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। দিল্লির নিজামুদ্দিনের ঘটনার পরই কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় বিদেশি ধর্মপ্রচারকদের খোঁজ শুরু করে প্রশাসন। রাতভর তল্লাশিতে উদ্ধার করা হয় মোট ৫৩ জনকে।
মঙ্গলবার রাতে কলকাতার বিভিন্ন মসজিদে হানা দেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। বিভিন্ন মসজিদ থেকে উদ্ধার করা হয় বিদেশিদের। তাদের যদিও দাবি, লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় আটকে পড়েছিলেন। ফলে মসজিদে থাকা ছাড়া উপায় ছিল না।
পুলিশ সুত্রের খবর, জোড়াসাঁকো এলাকার একটি মসজিদ থেকে ১৩ জন বিদেশিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরা সবাই মায়ানমারের নাগরিক। নারকেলডাঙার এলাকার মসজিদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরও ১৩ জন বিদেশিকে। এরা সবাই থাইল্যান্ডের নাগরিক। গার্ডেনরিচের একটি মসজিদ থেকে ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকরা। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও ১০ জন বিদেশিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর পর এদের নিউ টাউনের মদিনাতুল হুজ্জাজে কোয়ারায়েনটাইনে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে কেউ করোনা আক্রান্ত কি না তার ওপর নজর রেখেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদের প্রত্যকের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই রকছেন গোয়েন্দারা। কেন তাঁরা কলকাতায় ছিলেন। কেনই বা তাঁরা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি, তা খতিয়ে দেখা হবে।