বিদেশ ভ্রমণে জাননি তিনি। বিদেশ ভ্রমণে যাননি তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যও। তাহলে নয়াবাদের করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংক্রমণ হল কোথা থেকে। সেই উৎস খুঁজে বার করতেই এখন তৎপর রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মেদিনীপুরে এক আত্মীয়ের বিয়েতে সামিল হয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই কি সংক্রমণ? তাহলে কি সেখানে সংক্রমিত হয়েছেন আরও কেউ? জবাব হাতড়াচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় খোঁজ মেলে দশম করোনা আক্রান্তের। ৬৬ বছরের ওই প্রৌঢ় কলকাতা লাগোয়া নয়াবাদের বাসিন্দা। বর্তমানে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন তিনি। চিকিৎসকদের তিনি জানিয়েছেন, কোনওদিন বিদেশ ভ্রমণে যাননি তিনি। তাহলে তাঁর সংক্রমণ হল কোথা থেকে?
বৃদ্ধ জানিয়েছেন, সম্প্রতি মেদিনীপুরে এক আত্মীয়ের বিয়েতে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সেখানে কয়েক শ’ মানুষের জমায়েত হয়েছিল। সেই জমায়েতে কি ছিলেন বিদেশ ফেরত কেউ? সেখান থেকেই কি সংক্রমণ? জানার চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য দফতর।
বৃহস্পতিবার বৃদ্ধের করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর মেলার পর থেকেই তাঁর গোটা পরিবারকে হোম কোয়ারেনটাইনে রেখে প্রশাসন। পরিবারটির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বাড়ির সামনে বসেছে পুলিশ পিকেট।
এসবের মধ্যেই উঠে এসেছে আরেক তত্ত্ব। জানা গিয়েছে, ওই প্রৌঢ়ের বাড়ির কাছেই থাকেন কলকাতায় প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যুবক। নবান্নের আমলার ছেলের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার টালবাহানা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছিল সাধারণ মানুষ। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর মুখেও শোনা গিয়েছিল সমালোচনার সুর। গত ১৫ মার্চ কলকাতা থেকে ফেরার পর ১৬ মার্চ সোমবার গোটা দিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছিলেন ওই যুবক। তখন কি যুবকের সংস্পর্শে এসেছিলেন বৃদ্ধ। প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও?
হাসপাতাল সূত্রের খবর, আক্রান্ত বৃদ্ধের অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। গত ২৩ মার্চ জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় এখনো পর্যন্ত মৃত একমাত্র ব্যক্তির সংক্রমণের উৎস নিয়েও প্রথমে ধোঁয়াশা ছিল। ওই ব্যক্তি ও তার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণে যাননি তাঁরা। পরে যদিও মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, সম্প্রতি ইতালি থেকে ফিরেছে পরিবারটি। যেখানে করোনাভাইরাস মহামারির আকার নিয়েছে।