বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনে এবার সরাসরি টক্কর দিতে চলেছে তারা। বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সম্মুখসমরে নামতে অভিনব পথ নিচ্ছে লালপার্টি। একদা তারা কম্পিউটারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়তে চায় তারা। তাই নতুনভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে সিপিআইএম। ‘নজরে পঞ্চায়েত’ নামে এক বিশেষ কর্মসূচির উদ্যোগ নিচ্ছে সিপিআইএম। আর সে কথা অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে।
কী এই ‘নজরে পঞ্চায়েত’ কর্মসূচি? ‘নজরে পঞ্চায়েত’ কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে সিপিআইএম। হেল্পলাইন নম্বর হল ০৩৩৪১৮০৭৫০৬। সেই নম্বরে যোগাযোগ করে জানানো যাবে পঞ্চায়েত স্তরের দুর্নীতি থেকে নির্বাচনে শাসকদল এবং বিজেপির আগ্রাসনের কথাও। এছাড়া পরামর্শও দেওয়া যাবে এই হেল্পলাইনের মাধ্যমে। পাশাপাশি পঞ্চায়েতস্তর থেকে রাজ্যস্তরের নানা দুর্নীতি নিয়েও তথ্য জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষজন।
কী বলছেন দলের রাজ্য সম্পাদক? নজরে পঞ্চায়েত কর্মসূচি নিয়ে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘মানুষের আজ অসহায় অবস্থা। কারণ কাজ নেই। গ্রামের দিকে আগে যারা খেটে খেতেন, এখন তারা খুটে খেতেও পারছেন না। বেশিরভাগ মানুষ পরিযায়ী হয়ে ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছেন। একদিকে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে চলছে দুর্নীতি, লুঠ। সিবিআই–ইডি তৃণমূল নেতাদের ধরছে। কিন্তু ভিতরে সব সেটিং হয়ে আছে। তাই তৃণমূল–বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে মানুষকে একজোট হতে হবে। তাই ‘নজরে পঞ্চায়েত’ কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।’
কী কাজ হবে এই হেল্পলাইনে? দলীয় সূত্রে খবর, ‘নজরে পঞ্চায়েত’ কর্মসূচি একটি হেল্পলাইন নম্বরের উপর নির্ভরশীল। এখনও নম্বরটি চালু হয়নি। তবে শীঘ্রই চালু হবে। এই নম্বরটি বিশেষভাবে কাজে লাগবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়। কারণ তখন প্রার্থী থেকে ভোটারদের উপর আক্রমণ হতে পারে। বুথ জ্যাম, ছাপ্পা থেকে ভোট দিতে না দেওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। তখন দলের তরুণ কমরেডরা সেখানে ছুটে গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবে। রেড ভলান্টিয়ার্স যেভাবে মানুষের মুখে খাবার থেকে ওষুধ পৌঁছে দিয়েছিল কোভিড আবহে, সেভাবেই কাজ করবে এই ‘নজরে পঞ্চায়েত’ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত থাকা সদস্যরা। প্রতিটি জেলার প্রতিটি ব্লক এবং বুথস্তরে থাকবে কর্মীরা। যেখান থেকে খবর আসবে সেখানে জানানো হবে। আর সংশ্লিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যাবে সদস্যরা। উল্লেখ্য, এর আগে ‘পাহারায় পাবলিক’ নামে এক কর্মসূচীর উদ্যোগ নিয়েছিল সিপিআইএম।